লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কখনো কখনো মন হয়ে যায় অবাধ্য। কোনো কাজে মন স্থির রাখা যায় না। আসলে মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ সবসময় নিজের ওপর থাকে না। হোক পড়াশোনা, রান্না কিংবা অফিসের কাজ- কোনো কিছুই মনমতো হয় না।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মনোযোগে ঘাটতি দেখা দিলে তারা অস্থির হয়ে পড়েন। অনেকসময় মাথা ঠান্ডা রাখলেও মন এক বিন্দুতে উপনীত হয় না। ভেতর ভেতর অস্থিরতায় ভোগেন। এমন সমস্যায় নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে।
ফোনের প্রতি আসক্তি অস্থিরতার একটি কারণ হতে পারে। আবার নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনাও মনের অস্থিরতা বাড়ায়। মন স্থির করতে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা ধ্যানের পরামর্শ দেন। তবে যোগ প্রশিক্ষকরা বলছেন, ধ্যানের মাধ্যমে মনকে স্থিত করা সহজ নয়। এর বদলে যোগাসনে ভরসা রাখতে পারেন। কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায় গরুড়াসন নামক একটি যোগাসন। চলুন এসম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
আরও পড়ুন- অনিদ্রা দূর হবে এই ৩ যোগাসনে
‘গরুড়’ নামটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। পুরাণমতে, বিষ্ণুর বাহন হলেন গরুড়। কাল্পনিক হলেও পাখিটির সঙ্গে মিল রয়েছে ঈগলের। তাই ইংরেজিতে এই ভঙ্গিকে ‘ইগল পোজ’-ও বলা হয়।
কীভাবে গরুড়াসন করবেন?
এই যোগাসন করতে প্রথমে ম্যাটের ওপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। দেহের দু’পাশে রাখুন হাত।
এবার হাঁটু সামান্য ভাঁজ করে বাঁ পায়ের ঊরু, ডান পায়ের ওপর তুলুন। এমনভাবে পা রাখতে হবে, যেন দেখে মনে হয়, বাঁ পা, ডান পা-কে পেঁচিয়ে রেখেছে।
এবার দুই হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে কনুই ভাঁজ করুন। ডান হাতের ওপর বাঁ হাত পেঁচিয়ে ধরুন। দু’হাতের তালু থাকবে প্রণামের ভঙ্গিতে।
আরও পড়ুন- পেটের মেদ কমাতে কার্যকরী ৫ যোগাসন
লম্বা শ্বাস নিয়ে এই ভঙ্গি ধরে রাখুন অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। এরপর শ্বাস ছেড়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে।
একইরকম ভাবে ডান হাত এবং ডান পায়েও এই ভঙ্গি অভ্যাস করুন। দুই পা, হাত বদলিয়ে অন্তত বার তিনেক এই আসন অভ্যাস করতে হবে।
গরুড়াসন করলে কী উপকার মিলবে?
এই আসন মনঃসংযোগ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি মন শান্ত রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে গোড়ালি, পায়ের কাফ মাসলের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। ঘাড়, কাঁধের ব্যথায় আরাম মেলে। পেশিতে টান ধরার প্রবণতা কমে। কোষ্ঠকাঠিন্য, হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময় হয়।
প্রশিক্ষকদের মতে, সাইটিকা এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সংক্রান্ত ব্যথাবেদনাও বশে রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই আসন।
সতর্কতা: হাঁটু, গোড়ালি কিংবা কনুইয়ে চোট লাগলে এই আসন করার আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বডি ব্যালান্সের সমস্যা থাকলেও এই আসন করা যাবে না।
এনএম