মনের মধ্যে কোনো খারাপ স্মৃতি বা অনিশ্চয়তা দেখা দিলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। মাথা ঝিম ধরে থাকে। অস্থির লাগে। কিছুক্ষণ এমন লাগার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়— এমন সমস্যার সঙ্গে পরিচিত অনেকেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘প্যানিক অ্যাটাক’ বলে।
অনেকেরই এমন সমস্যা হয়। উদ্বেগের কারণে দম আটকে আসে। শরীর খারাপ লাগে। এমন মনে হয় যেন এক্ষুনি মারা যেতে হবে।
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত কাজের চাপ, কর্মস্থলে জটিলতা, প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ, উচ্চাকাঙ্খা ইত্যাদি কারণে মানসিক উদ্বেগ জন্ম নেয়। বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের মধ্যে প্যানিক অ্যাটাক বেশি দেখা যায়। এমন উদ্বেগ বা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন কিছু যোগাসনের ওপর।
ধনুরাসন
এই যোগাসন করতে পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। এরপর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এবার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির ওপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন, পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে।
বিজ্ঞাপন
এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
পদহস্তাসন
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর আস্তে আস্তে পা দুটো সামান্য ফাঁক করুন। এবার ভালো করে শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটো উপরের দিকে তুলুন। এবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। হাতের সাহায্যে গোড়ালি স্পর্শ করুন। খেয়াল রাখবেন, হাঁটু যেন না ভাঙে। ২০-৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।
ভুজঙ্গাসন
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাতের তালু মেঝের উপর পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এবার কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। মাথা তুলে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন।
নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মানসিক চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন আপনি। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা জরুরি।