লাইফস্টাইল ডেস্ক
০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের অনেককে চিকিৎসক গ্লুটেনযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। আবার অনেকের এমন খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে। কিন্তু গ্লুটেন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
গ্লুটেন কী, কোন খাবারগুলোতে গ্লুটেন রয়েছে, গ্লুটেন মুক্ত খাবারই বা কোনগুলো?— সব প্রশ্নের উত্তর জানুন এই প্রতিবেদনে-

গ্লুটেন কী?
গ্লুটেন এক ধরনের প্রোটিন যেটি মূলত গম, রাই, বার্লি ইত্যাদিতে থাকে। এটি এক ধরনের আঠালো পদার্থ যা গম, রাই থেকে তৈরি খাবারে থাকে। এটি খাবারটিকে বেক করার সময় ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে। রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপস, সস, বিয়ার এসব খাবারে গ্লুটেন থাকে।
কোন খাবারে গ্লুটেন থাকে?
সহজ ভাষায় বলা যায় ময়দা থেকে তৈরি সব খাবারেই গ্লুটেন থাকে। আমরা যেসব প্রসেসড খাবার খাই তার সবগুলোতেই গ্লুটেন আছে। যেমন- পাউরুটি, বার্গার, পিজ্জা, পাস্তা, কেক, সিরিয়াল। এমনকি সস, আইসক্রিম থেকে শুরু করে অনেক ওষুধেও হিডেন গ্লুটেন পাওয়া যায়।

গ্লুটেন মুক্ত খাবার কোনগুলো?
গ্লুটেন মুক্ত খাবারের তালিকায় রয়েছে তাজা ফল, সবজি, ডিম, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত দ্রব্য।
আরও পড়ুন- ভাত খেলে কি গ্যাস্ট্রিক কমে?
গ্লুটেন যুক্ত খাবার কাদের খাওয়া মানা?
আমরা সবাই ই গ্লুটেন যুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। তবে বিশেষ কিছু সমস্যা থাকলে অবশ্যই এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে-

সিলিয়াক রোগ
যাদের এই রোগ আছে, গ্লুটেন যুক্ত খাবার খেলে তাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে খাবার থেকে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ ব্যাহত হয়। সিলিয়াক রোগ এক ধরনের অটোইমিউন ঘটিত অসুস্থতা।
আরও পড়ুন- টক ঢেকুরের জন্য দায়ী যেসব খাবার
গ্লুটেন সংবেদনশীলতা
সিলিয়াক রোগ না থাকলেও অনেকেরই গ্লুটেন নিয়ে সংবেদনশীলতা থাকে। এমনকি সিলিয়াক রোগের উপসর্গও দেখা যেতে পারে। পেটের তলদেশে ব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, চুলকানি, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। ক্ষুদ্রান্ত্রের কোনো ক্ষতি না হলেও এই উপসর্গগুলো দেখা দেয়। এমন ব্যক্তিদের গ্লুটেন মুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

গ্লুটেন অ্যাটাক্সিয়া
এটিও এক ধরনের অটোইমিউন ঘটিত অসুস্থতা। এটি বেশ কিছু স্নায়ুর তন্তুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে পেশির নড়াচড়া করার শক্তি ব্যাহত হয়।
হুইট অ্যালার্জি
অনেকের আটাতেও অ্যালার্জি হয়। আটাতে একধরনের প্রোটিন থাকে, যা শরীর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ভেবে ভুল করে। সুতরাং তার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে শরীর অ্যান্টিবডি তৈরি করে। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
এনএম