images

লাইফস্টাইল

শীতে কী খাবেন, কী খাবেন না?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫ পিএম

ছোট-বড় সবার কাছেই শীত খুব উপাদেয়। কেননা অনেকটা গ্রীষ্মপ্রধান দেশে শীত বিলাসিতার ঋতু। আমেজ আর উৎসবের সময় এটি। ঘুরতে যাওয়া কিংবা পেট ভরে খাওয়ার ঋতু শীত। কিন্তু এসময় সুস্থ থাকাটা জরুরি বিষয়। তাই খেতে হয় ভেবেচিন্তে। 

কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা শীতকালে খাওয়া ভালো। এতে শরীর সুস্থ থাকে। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যা এসময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। চলুন জানা যাক বিস্তারিত- 

veg1

শীতে কী কী খাবেন? 

শীতে পাওয়া যায় হরেকরকম সবজি। নানারকম সবজি মেলে এসময়। এর মধ্যে অন্যতম একটি গাজর। শীতের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সবজিটি। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ। এটি ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। চোখ ও দাঁতের জন্য ভীষণ উপকারি সবজি গাজর। 

শীতের আরেকটি পরিচিত সবজি ফুলকপি। প্রচুর খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ সবজি এটি। ফুলকপিতে আছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। খেতে পারেন ব্রকলিও। 

veg2

এসময় খেতে পারেন বাঁধাকপি। এতে আছে ফসফরাস। নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। 

শীতকালে পাতে রাখতে পারেন শিম। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানও থাকে। শরীরের জন্য তো বটেই, চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্যও শিম উপকারী।

spinach

শীতের শাকের তালিকায় সবার উপরে আছে পালংশাক। এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। আরও থাকে নানা নিউট্রিয়েন্ট। শীতে অবশ্যই পালং শাক খান। 

এসময় খেতে পারেন মটরশুঁটিও। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কমায় কোলেস্টেরল। এছাড়া সুগার নিয়ন্ত্রণেও উপকারি ভূমিকা রাখে। 

pakora

শীতে কী কী খাবেন না? 

শীতকালে কোন খাবারগুলো খাবেন তা তো জানলেন। এবার চলুন জানা যাক এসময় কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন। 

শীতে ভাজাপোড়া খাবার যতটা সম্ভব কম খাবেন। ভাজা খাবারে প্রচুর ফ্যাট থাকে। এটি প্রেশার, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। সেসঙ্গে হৃদরোগের আশঙ্কা তো আছেই। 

tomato

উপকারি হলেও শীতে ডিম, মাশরুম, টমেটো আর দই কম খাওয়াই ভালো। এসব খাবার শীতের আবহাওয়ায় শরীরে কিছু অবাঞ্ছিত সমস্যা তৈরি করে।

শীতে শরীর গরম রাখতে অনেকে বার বার চা-কফি খান। কিন্তু সুস্থ থাকতে চাইলে এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। চা আর কফিতে আছে ক্যাফেইন নামক উপাদান যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। 

এর পাশাপাশি বেশি চিনি দেওয়া খাবার বা পানীয়ও শীতে এড়িয়ে চললে ভালো। এতে সুস্থ থাকতে পারবেন। 

এনএম