images

আইন-আদালত

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে যা বললেন কাজল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৬ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় বিস্তারিত অভিযোগ শুনেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 
 
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে বিএনপিপন্থী আইনজীবী মনোনীত সভাপতি প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বাইরে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। 

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে আমরা বলেছি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় সময় পার হচ্ছে। এই কলঙ্কজনক সময়ে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করেছি। এর আগেও নির্বাচন নিয়ে ৪ বার আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সকালে আমরা আপিল বিভাগের ৮ জন বিচারপতির কাছে আমাদের কথা তুলে ধরেছি। এরপর তারা আমাদের দেখা করতে বলেছিলেন, সেই হিসেবে আমরা সকাল ১১টার দিকে দেখা করতে যাই।

>> আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে আজও আ.লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধস্তাধস্তি

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমরা ৮ জন বিচারপতির কাছে বক্তব্য রেখেছি। তারা আমাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সুপ্রিম কোর্ট বারের ঐতিহ্য। এ নির্বাচনে আমাদের আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিচারপতি মুনসুরুল হক চৌধুরীকে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সম্মতি দিয়েছিলাম। 

কাজল বলেন, আমরা আরও জানিয়েছি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। এরপর আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে গিয়েছি, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের কাছে গিয়েছি। তাকে ফিরিয়ে আনা বা নতুন করে কোনো নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কমিশন নিয়োগ না দেওয়ায় নির্বাচন হয়নি।

>> আরও পড়ুন: সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দুঃখ প্রকাশ

তিনি বলেন, আমরা আগে নির্বাচন কমিশন চাই, এরপর ভোট হোক। কমিশন নিয়োগ না দিয়ে কোনো ধরনের ভোট হতে পারে না। নির্বাচনের আগের দিন থেকেই ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ভোটের আগের দিন রাতে সুপ্রিম কোর্ট বারের তিন তলায় ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, গতকাল (বুধবার) সকালে ভোট গ্রহণের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুনসুরুল হক চৌধুরী ছিলেন না। তিনি পদত্যাগ করেছেন। ব্যালটে তার নাম রয়েছে। আমাদের আইনজীবী নারী সহকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ অতর্কিত হামলা করেছে। এসব ঘটনা আমরা বলেছি। বিচারপতিরা আমাদের সব কথা শুনেছেন। 

প্রধান বিচারপতির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন- কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশে পুলিশ কোনো অনুমতি নেয়নি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।

এআইএম/এইউ