আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১১ এএম
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০টিরও বেশি পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, যাদের কোনো সদস্যই আর বেঁচে নেই।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজায় অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে। এতে ৩৮টি হাসপাতাল, ৮৩৩টি মসজিদ এবং দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪৫ জনই গাজা শহরের বাসিন্দা। শহরটি দখল করতে এবং এর বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনারা অভিযান চালাচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে।
শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের কারণে গত দুই বছরে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮২ জনে, যাদের মধ্যে ১৩৫ জনই শিশু।
ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে একের পর এক আবাসিক টাওয়ার ধ্বংস করে চলেছে। মুশতাহা টাওয়ারের পর শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আল-সুসি আবাসিক টাওয়ারও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ সামাজিক মাধ্যমে এই ধ্বংসের ভিডিও প্রকাশ করে ভবিষ্যতে আরও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করছে, এসব ভবন হামাসের নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল, যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন হামাসের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ ও অস্থিতিশীল হবে। ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, হামাসের কাছে জীবিত জিম্মির সংখ্যা কমে এসেছে।
/এএস