ঢাকা মেইল ডেস্ক
০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০২ এএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানাকে এক কথায় পাত্তা না দিয়েই হাঙ্গেরি সফরে গেলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুও এ সফরে তার সঙ্গী হয়েছেন।
ইসরায়েলের স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর তাকে বহনকারী বিমানটি তেলআবিব বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ। খবর তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর।
চার দিনের আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোরের দিকে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের বিমানবন্দরে অবতরণ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানের নির্দেশ এবং উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের নামে ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ-শিশুর হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নেতানিয়াহুকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, যা এখনও কার্যকর আছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে জারি করা হয় এই পরোয়ানা। আইসিসির মোট সদস্যরাষ্ট্র ১২৫টি। ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভূক্ত ২৭টি দেশের সবই এ আদালতের সদস্যরাষ্ট্র। হাঙ্গেরি ইইউ’র অন্তর্ভুক্ত দেশ।
আইসিসির কোনো নিজস্ব পুলিশবাহিনী নেই, তবে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আদালতের সনদে উল্লেখ করা হয়েছে যে আইসিসির ঘোষিত কোনো আসামি যদি এই ১২৫টি সদস্যরাষ্ট্রের কোনো একটিতে অবস্থান করে, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা ওই দেশের সরকারের দায়িত্ব।
নেতানিয়াহু যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই হাঙ্গেরি সফরে যাচ্ছেন, তা চাউর হয়েছিল আগেই। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর আর্বান নিজে নেতানিয়াহুকে এ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আর্বানের কঠোর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
পাশাপশি নেতানিয়াহু হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করা মাত্র আইসিসির পরোয়ানাকে সম্মান জানিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা।
তবে আর্বান যে এই আহ্বানে সাড়া দেবেন না, তা-ও একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ গত নভেম্বরে যখন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আইসিসি, তখনই অবশ্য একে ‘নিষ্ঠুর পদক্ষেপ’ বলে সমালোচনা করেছিলেন আর্বান।
পাশাপাশি বলেছিলেন, নেতানিয়াহু কখনো হাঙ্গেরি সফরে এলে সেই পরোয়ানার কোনো প্রভাব সে দেশে পড়বে না। মূলত, মার্কিন চাপেই ইসরায়েলের পক্ষে হাঙ্গেরির এ অবস্থান।
-এমএমএস