আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫ মে ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
ইরানের চাবাহার বন্দর ব্যবহারে দেশটির সঙ্গে ভারত ১০ বছর মেয়াদি চুক্তি করার পরপরই নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার বন্দর ব্যবহারের ওই চুক্তি স্বাক্ষর করে নয়াদিল্লি ও তেহরান।
চুক্তির পরই ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওয়াশিংটন বলেছে, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে। যারা ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করতে চায় তাদের ‘এ সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়টি’ বিবেচনা করা উচিত।
একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির জবাব দিয়েছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, এই বন্দর প্রকল্পে সবাই উপকৃত হবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখলে চলবে না।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতীতে চাবাহার বন্দর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তারা নিজেই স্বীকার ও প্রশংসা করেছে চাবাহার বন্দরের বিপুল প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। আমরা এ বন্দর নিয়ে কাজ করব। আমাদের বিশ্বাস, এতে গোটা অঞ্চলই উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, ইরানের চাবাহার বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড এবং পোর্ট ম্যারিটাইম অর্গানাইজেশন অব ইরানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড চাবাহার বন্দরে সরাসরি ১২০ মিলিয়ন ডলার এবং ঋণ পরিষেবার মাধ্যমে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
কৌশলগত দিক বিবেচনায় ভারতের জন্য ইরানের চাবাহার বন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই বন্দর ব্যবহার করে ভারতের জন্য ইরান, আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, রাশিয়া, মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এমনকি ইউরোপেও পৌঁছানো সহজ হবে।
ভারতের আশা, এই চুক্তির ফলে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাবাহার বন্দরে বিনিয়োগের জন্য ১০০ কোটি রুপির অনুমোদন দিয়েছে।