আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৫ মে ২০২৪, ০৬:১৬ এএম
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি পর্যালোচনার পর হামাস প্রতিনিধিদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে।
শনিবার (৪ মে) মিসরের রাজধানী কায়রোতে এবার হামাস প্রতিনিধি দল ও মধ্যস্থতাকারী আলোচনায় বসেছেন সিআইএ পরিচালক। খবর বিবিসি।
হামাস জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনিদের দাবি পূরণে একটি চুক্তি সুরক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর তারা।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্য ‘যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করা উচিত নয়।’
তবে প্রস্তাবে এখনও এমন কিছু রয়েছে, যাতে একমত হতে পারছে না হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি স্থায়ী বা অস্থায়ী হবে কিনা তা নিয়েই মূল সমস্যা বলে মনে করা হচ্ছে।
সর্বশেষ এই আলোচনায় অংশ নিতে কায়রো সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এর পরিচালক উইলিয়ামস বার্নস।
অবশ্য চুক্তি না হওয়ার জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন ব্লিঙ্কেন। শুক্রবার (৩ মে) আরিজোনায় তিনি বলেছেন, ‘গাজার জনগণ ও যুদ্ধবিরতির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে হামাস।’
কয়েক মাস ধরেই এই যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলছে। নভেম্বরের পর, কোনও যুদ্ধবিরতি হয়নি। কোনও জিম্মি মুক্তিও পাননি।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, চুক্তিতে গেলেও দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে নতুন করে স্থলপথে সামরিক অভিযান চালাবে তারা।
কিন্তু বারবার রাফায় অভিযানের বিষয়ে সতর্ক করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। এখানে অভিযান চালানো হলে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় গত অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি অভিযানের এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৭ হাজার ৯০৮ জন আহত হয়েছে। আর হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
এমএইচটি