আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
ভারতে সিএএ কার্যকর নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। কীভাবে ভারতে এই আইন বলবৎ করা হচ্ছে সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০১৯ সালে দেশটিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আনে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পাশ হয়ে যাওয়ার পরে ৪ বছর কেটে গেলেও করোনার জেরে এই আইন কার্যকর করা যায়নি। লোকসভা ভোটের আবহে গত সোমবার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সিএএ চালু করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
আরও পড়ুন: অরুণাচলে মোদি, ভারত-চীন উত্তেজনা
এরপরই এই আইনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপিবিরোধী দলগুলো। এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে বলে দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও জানান, তাদের রাজ্যে সিএএ কার্যকর করতে দেবেন না। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দাবি, সিএএ নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা।
সিএএ নিয়ে কেন এত বিতর্ক? বিরোধীরা জানিয়েছেন, এই আইনে মুসলিমদের কথা উল্লেখ নেই। এজন্য এতে সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সিএএর পরে দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর করে অনেকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে কেন্দ্র, এমনটাও অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের তরফে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করল ভারত
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, 'গত ১১ মার্চ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভারতে কীভাবে এই আইন কার্যকর হবে, সেদিকে কড়া নজর রাখছি। গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম ধর্মীয় স্বাধীনতা আর সকল সম্প্রদায়ের সমানাধিকার।'
একে