লোকসভা নির্বাচনের আগেই সারা দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু করেছে ভারত। সোমবার (১১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানায় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিল পাশ হওয়ার চার বছর পর সিএএ চালু হলো দেশটিতে।
২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সিএএ পাশ করেছিল মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশটির তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও বিলটি অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন ধরে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল না দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
বিজ্ঞাপন
যদিও গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। শুধু তা-ই নয়, শাহ এও বলেছিলেন, শীঘ্রই সিএএ কার্যকরের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ-কে ‘ক্যা ক্যা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তৃণমূলের এই নেত্রী বরাবরই সিএএ প্রসঙ্গে দাবি করে আসছেন, যে নাগরিকেরা ভোট দেন, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে, তারাই ভারতের নাগরিক। তাই তাদের নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, সিএএ কার্যকর করা নিয়ে দীর্ঘদিন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যেই টালবাহানা চলছিল। অন্যদিকে, করোনার আগে থেকেই দেশের নানা প্রান্তে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সারা দেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ যায় প্রায় ১০০ জনের। বিজেপিবিরোধী দলগুলিই এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সিএএ কার্যকরের বিরোধী। এখনও পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তার আগেই গোটা দেশে চালু হলো সিএএ।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচএম