images

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানে হামলা চালাবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২০ এএম

যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। রোববার কথা বলার সময় তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।

সিএনএন এর স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে সুলিভান বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যা করা প্রয়োজন মনে করেন, তা করবেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন আমেরিকান সেনা বা লোহিত সাগরে আমেরিকান নৌযান বা বাণিজ্য জাহাজে যদি আরও হামলা হয়, তাহলে এর জবাব দেওয়া হবে।

তবে সুলিভান এও জানান যে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা করবে।

আরও পড়ুন: হুথিদের সামরিক শক্তি কেমন, ইয়েমেন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ড কোর এবং ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের সহযোগীদের সাথে সম্পর্কিত ৮৫টি অবস্থানে আঘাত করে। জর্ডানে আমেরিকান সেনা ঘাঁটিতে তিনজন সেনা নিহত হবার জবাবে ওই হামলা চালানো হয়।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ইয়েমেনে হুথিদের অন্তত ৩৬টি অবস্থানের ওপর আঘাত করে। রোববার হুথিদের জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইলের ওপর আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্র। এটিকে আত্মরক্ষার হামলা বলছে ওয়াশিংটন।

সুলিভান বলেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় সাফল্য কিভাবে মাপা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে সুলিভান বলেন, আমাদের প্রতিটি হামলায় তাদের সক্ষমতা কমছে। যুক্তরাষ্ট্র হামলা বাড়াবে কিন্তু একই সাথে মধ্যপ্রাচ্যে কোনো যুদ্ধে যেন জড়িয়ে না পড়ে, সেটা নিশ্চিৎ করবে।

জ্যাক সুলিভান বলেন, ইরানের ভেতরে হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: কতটা শক্তিশালী হিজবুল্লাহ, ইসরায়েলের সঙ্গে জিততে পারবে কি?

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা শনিবার স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা পিছু হটবে না। হুথি কর্মকর্তা মোহামেদ আল-বুখাইতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লেখেন, 'গাজায় যতক্ষণ না গণহত্যা বন্ধ হবে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর থেকে অবরোধ তোলা না হবে, আমাদের যত ত্যাগ স্বীকারই করতে হোক না কেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলবে। ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আমেরিকান-ব্রিটিশ আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে, হামলার পাল্টা জবাব দে‌ওয়া হবে।'

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গোপন অস্ত্র গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার এবং হেলিকপ্টারের ওপর আঘাত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সেনা বলছে, তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানার দক্ষিণে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে আঘাত হানে যা থেকে লোহিত সাগরে জাহাজে আঘাতকারী হুথি ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করা হতো।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড সর্বসাম্প্রতিক যৌথ অভিযানের কয়েক ঘণ্টা আগে জানায়, তারা আঘাত করতে প্রস্তুত এমন ছয়টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: একটানা যায় ২ হাজার কিলোমিটার, কতটা শক্তিশালী ইরানের ‘কামিকাজে’?

হুথিরা বলেছে, মোট ১৪টি হামলা হয়েছে। হুথি পরিচালিত ইয়েমেনি সংবাদ সংস্থা সাবার কাছে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, মাকবানাহ জেলা এবং হাইফান জেলায় বিভিন্ন স্থানে ১১টি হামলা হয়েছে। এছাড়া আল লাহিয়া জেলা এবং আল-সালিফ জেলায় বাকি তিনটি হামলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর উদ্দেশে ওয়েস্ট কোস্ট সফর করার আগে তাকে হামলার বিষয়ে ব্রিফিং দেওয়া হয়।

রাশিয়া সোমবার বিকেলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের একটি জরুরি বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছে। জাতিসংঘে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী উপপ্রতিনিধি দমিত্রি পলিয়ানস্কি এক্সে এই তথ্য জানিয়েছেন।

একে