আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময় বাকি ছিলো। কিন্তু এরই মধ্যে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে দেশটির পার্লামেন্টে একটি রেজুলেশন পাস হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পাস হওয়া ওই রেজুলেশনে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হচ্ছে না। খবর ডনের
দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মর্তুজা সলঙ্গী এবং পাকিস্তানের মুসলিম লীগ (পিএমএল)-এন এর সিনেটর আফনান উল্লাহ খান এই রেজুলেশনের বিরোধীতা করেছিলেন। তবে মাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতার উপস্থিতি এই রেজুলেশন পাস হয়। যদিও পাকিস্তানে সংসদের উচ্চকক্ষে ১০০ জন সদস্য রয়েছে।
আরও পড়ুন
দিলওয়ার খান উচ্চস্বরে প্রস্তাবটি পড়ার সময় বলেন, সংবিধান পাকিস্তানের প্রতিটি নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকারকে সমুন্নত রেখেছে এবং পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন অন্তর্ভুক্তি এবং সমস্ত জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ভিত্তিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে বাধ্য।
দিলাওয়ার উল্লেখ করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন ঠান্ডাপ্রবণ এলাকাগুলোতে ভোটারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অসুবিধা সম্পর্কে তাদের আপত্তি প্রকাশ করেছে।
দিলওয়ার বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জীবনের গুরুতর হুমকির কথা জানিয়েছে।
এছাড়াও তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং নাগরিকদের ওপর বিশেষ করে কেপি এবং বেলুচিস্তানে হামলার সংখ্যা বেড়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি উভয় প্রদেশে নির্বাচনী সমাবেশে জঙ্গি হামলার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে।
সিনেটর বলেন, নির্বাচনী সমাবেশে জঙ্গি হামলার আসন্ন হুমকির ইঙ্গিত দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্কতা জারি করেছে, যা নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব ফেলতে পারে।
এমএইচএম