images

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ২১,৫০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৫০০ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৬ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন সাত হাজার। নিখোঁজরা সবাই মারা গেছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ইরানে ৪ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে চলা বোমা হামলায় সামগ্রিকভাবে গাজার জনসংখ্যার প্রায় চার শতাংশ নিহত, আহত বা নিখোঁজ হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, হতাহত ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগই হচ্ছে বেসামরিক জনগণ।

এখন রেডক্রস-সহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠন রাফাহর সীমান্তে কাজ করছে। রাফাহ হলো গাজা এবং মিসরের মধ্যবর্তী এলাকা। সীমান্ত থাকলেও এই এলাকাটি অত্যন্ত সংকীর্ণ। একমাত্র এই একটি রাস্তা দিয়েই গাজায় সমস্ত মানবিক সাহায্য ঢুকছে। রেডক্রসের প্রধান জানিয়েছে, যে পরিমাণ সাহায্য ঢুকছে তা নেহাতই অপ্রতুল। ইসরায়েল এবং হামাসের লড়াইয়ের মাঝে পড়ে লাখ লাখ গাজার মানুষ দক্ষিণ গাজায় রাফাহ সীমান্তের ধারে এসে ভিড় জমিয়েছেন। তাদের থাকার জায়গা নেই। খাওয়ার পানি পর্যন্ত নেই। যেটুকু জায়গার মধ্যে এত মানুষ আছেন, তা অপ্রতুল।

এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, গাজায় হাসপাতালগুলো কার্যত চলছে না। ওষুধ পৌঁছাচ্ছে না। খাবার পানি পর্যন্ত নেই। ফলে অসুস্থ মানুষ সাধারণ চিকিৎসাটুকু পাচ্ছেন না। আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে ফের একবার সংঘর্ষ-বিরতির অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করছে না।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের জন্য ২.৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ভারতের  

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই

এমইউ