আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫১ পিএম
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীর 'ভারী মূল্য' সত্ত্বেও গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে।
তেল আবিবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, 'গাজায় যুদ্ধের অত্যন্ত কঠিন দিনের পর এটি একটি কঠিন সকাল।' খবর আনাদুলু এজেন্সির
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রোববার জানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৪ সেনা নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হামাসের শক্তি দেখে অবাক সেনারা: ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সামরিক পরিসংখ্যান অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা সংঘাতের পর থেকে ৪৮৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেন, 'যুদ্ধে আমাদের ভারী মূল্য দিতে হচ্ছে। যাইহোক, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।'
তিনি বলেন, 'আমরা বিজয় না হওয়া পর্যন্ত, যতক্ষণ না আমরা আমাদের সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করি (হামাসের ধ্বংস, আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা) এবং গাজা যে আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না তা নিশ্চিত করা পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব।'
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েল প্রথমে জানিয়েছিল। পরে নিহতের সংখ্যা ১২০০ বলে জানায় তারা। আরও পরে হিসাব সংশোধন করে ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১৪৭ জন আর আহত ৮৭৩০ বলে জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে ৭০ শতাংশ ইসরায়েলি সেনা!
নিহদের মধ্যে বেশিরভাগ বেসামরিক হিসেবে ইসরায়েল উল্লেখ করলেও হামাস জানিয়েছে, তাদের হাতে নিহত ইসরায়েলিদের সবাই নিরাপত্তাকর্মী। আর সাধারণ মানুষদের ইসরায়েলি বাহিনীই হত্যা করেছে।
অক্টোবর থেকে কার্যত গাজার বেশিরভাগ এলাকা গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। স্থল, আকাশ ও জলপথে তীব্র আক্রমণ করছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত গাজায় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বলা বাহুল্য, তাদের প্রায় সবাই বেসামরিক ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং বাকিদের বেশিরভাগই নারী।
আরও পড়ুন: হামাসের শীর্ষ নেতা কারা, শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু?
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার সম্ভাব্য ২৪ লাখ মানুষের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সর্বাত্মক অবরোধের কারণে লাখ লাখ মানুষ নানামুখী সংকটের মুখোমুখী হয়েছে। খাবার নেই, পানি নেই। তীব্র শীতে সামান্য বাসস্থানটুকুও নেই। যেটুকু সাহায্য মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
একে