images

আন্তর্জাতিক

ভারতে নতুন প্রজাতির করোনার তীব্র সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৫ পিএম

ভারতে নতুন প্রজাতির করোনার তীব্র সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দেশটিতে এ মুহূর্তে ২৬৬৯ জন করোনা সংক্রমিত বলে জানা গেছে। ভারতে নতুন প্রজাতির করোনা জেএন.১-এর সংক্রমণে ৩৫৮জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩০০ জন কেরালার। এখন কেরালায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৪১ জন। 

এদিকে কর্নাটকে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। তামিলনাড়ুতে ১২ জন। গুজরাটে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, কর্নাটকে মোট আক্রান্ত এই মুহূর্তে ৯২, তামিলনাড়ুতে ৮৯, মহারাষ্ট্রে ৪৫, গুজরাটে ২৩, তেলঙ্গানায় ১৪ ও পাঞ্জাবে ৬। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরীতে ২২ ও গোয়ায় ১৯। নতুন করে আক্রান্তের পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুও। নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। যার মধ্যে কেরালাতেই এক দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন কর্নাটকে। আর পাঞ্জাবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনই অযথা আতঙ্কের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

আরও পড়ুন: ভারতে গণপিটুনির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, বিল পাস

সতর্কতা হিসেবে ইতোমধ্যেই কর্নাটকে বয়স্ক নাগরিকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে টেস্টিং ও জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে চিঠিও দিয়েছে কেন্দ্র।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সাব-ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১ কী? জানা যাচ্ছে, সাব-ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১ হচ্ছে বিএ.২.৮৬ ভ্যারিয়ান্টেরই বংশধর। যে বিএ.২.৮৬ ভ্যারিয়ান্টকে নাম দেওয়া হয়েছে পিরোলা। এখন এই পিরোলা বা  বিএ.২.৮৬ ভ্যারিয়ান্টের থেকে কোথায় আলাদা সাব-ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১? সাব-ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১-এর স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটাই অতিরিক্ত মিউটেশন থাকে। যেখানে পিরোলার স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন থাকে। এই স্পাইক প্রোটিনই মানব কোষের রিসেপটরকে আকৃষ্ট করে ও ভাইরাসকে শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: ডাইনোসরের ডিমকে দেবতা ভেবে পূজা করছিল ভারতে গ্রামবাসী!  

তবে সাব-ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১-এর উপসর্গ বা সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে এখনও উদ্বেগের কিছু পাওয়া যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যাদের ইতোমধ্যেই একবার কোভিড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাদের ক্ষেত্রে মানব শরীর থেকে স্বাভাবিকভাবে নিঃসৃত সিরাম-ই  পিরোলা ও সাব-ভ্যারিয়ান্ট  জেএন.১-কে প্রতিহত করবে। 

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'হোল অফ গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ' নিয়ে এখন এগোতে হবে। এটা সকলে এক সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার সময়। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা জরুরি, তবে প্যানিক করার, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে কিনা, তা দেখে নিতে হবে। আর এটা দেখে নেওয়ার জন্য 'মক ড্রিল' করতে হবে। সর্বস্তরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কমিউনিকেশন আরও বাড়াতে হবে। রাজ্যগুলোকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

সূত্র : জি নিউজ

এমইউ