images

আন্তর্জাতিক

২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম

গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ১৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

এ ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বোমা হামলার ফলে আরও ২৫৯ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে ৭১ জন নিহত এবং ১৬০ জন আহত ফিলিস্তিনিকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের হাতে মার খেয়ে অক্ষম হাজারো ইসরায়েলি সেনা

দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত অভিযানের ফলে ৬২ জন নিহত এবং ৯৯ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকেও নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির শেষে ১ ডিসেম্বর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করে।

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৭ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রয়োজন: এরদোয়ান

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। 

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, আনাদোলু এজেন্সি

এমইউ