আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৭ পিএম
ফিলিস্তিনিদের হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজায় লড়াইয়ের সময় তারা নিহত হন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘ক্যাপ্টেন আসাফ মাস্টার ও ক্যাপ্টেন কেফির নামে তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে।’ গাজায় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
কিবুতজ বাহানের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন আসাফ মাস্টারের বয়স ছিল ২২ বছর। তিনি সাঁজোয়া কোরের ৪০১ তম ব্রিগেডে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ বন্ধে ইরান ও কাতারের আহ্বান
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জেরুসালেমের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন কেফির ইতজাক ফ্রাঙ্কোর বয়স ছিল ২২ বছর। তিনিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাঁজোয়া কোরের ৪০১ তম ব্রিগেডে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল হামলা জোরদার হওয়ার পর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের তীব্রতা বেড়েছে।
উত্তর গাজার শহর গাজা সিটির হাসপাতালগুলোর আশেপাশে সংঘাতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজা শহরে গতরাতে সত্যিকার অর্থে কী ঘটেছে তা জানা কঠিন তবে কয়েক দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং এরপর এলাকাটি অন্ধকারে তলিয়ে গেছে।
বুধবার ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ জানিয়েছে তারা আল শিফা হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে কেন্দ্র করে অভিযান চালিয়েছে।
ওই অভিযানের সময় সেখানে থাকা বিবিসির একজন সংবাদদাতা কমান্ডোদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশের খবর নিশ্চিত করেছিলেন।
এরপর সৈন্যরা প্রতিটি কক্ষে গিয়ে রোগী ও কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তরুণদের অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির জন্য পোশাক খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর প্রায় চৌদ্দ ঘণ্টা পর সৈন্যদের সেখান থেকে প্রত্যাহারের খবর পায় বিবিসি।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে থাকা লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ওদিকে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল গাজা শহরে ২৫ হাজার লিটার তেল সরবরাহ করার জন্য রাফাহ অতিক্রম করার অনুমতি দিয়েছে।
এর বাইরে গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের হামলার সময় যাদের জিম্মি করা হয়েছে তাদের কয়েকজনকে মুক্তির জন্য হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে কাতার মধ্যস্থতা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় ‘অধিকতর মানবিক যুদ্ধবিরতি’র জন্য প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বিরোধী দলের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হয়েছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে।
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি, হারেৎজ
এমইউ