ইরান ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান নৃশংস যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় তারা ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের অবসান এবং অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে "নিষ্ঠুর ইসরায়েলি আগ্রাসন" বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে মতামত বিনিময় করতে মঙ্গলবার ইরান ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফোনে আলাপ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রেস টিভি জানিয়েছে, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি টেলিফোনে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের জন্য জোরালো দাবি জানান। একইসাথে দুই মন্ত্রী গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তারা গাজা ও ফিলিস্তিনের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ইসরায়েলি সেনারা
দুই মন্ত্রী বলেন, গাজায় যে যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যা চলছে তাতে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অবশ্যই দ্রুত এই যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে হবে এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় উদ্বাস্তু লোকজনের কাছে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ দিতে হবে।
গাজায় ইসরায়েলের যে যুদ্ধাপরাধ চলছে তা অবসানের বিষয়ে যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে সে সম্পর্কেও কাতার এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মতবিনিময় করেন। এছাড়া গাজায় কাতারের পুনর্নির্মাণ বিষয়ক কমিটির সদর দফতরে ইসরায়েলের বোমা হামলার বিষয়টিও আলোচনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও ইসরায়েলি সেনা নিহত
বিগত এক মাসে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া, বর্বর দখলদার সেনারা পানি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং খাদ্য সরবরাহের সমস্ত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।
সূত্র : প্রেস টিভি, জিনহুয়া, আল-জাজিরা
এমইউ