images

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও ইসরায়েলি সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৪৬ পিএম

ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উত্তর গাজায় ওই ইসরায়েলি সৈন্যরা নিহত হন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ‘উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনিদের হাতে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। যুদ্ধে নিহত ওই দুই সেনার নাম জানা গেছে। তারা হলেন - ২৭ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন ওমরি ইয়োসেফ ডেভিড ও ২৬ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন ইয়েদিদিয়া আশের লেভ।’

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, কারমিয়েল অঞ্চলের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন ওমরি ইয়োসেফ ডেভিড ছিলেন ৯২১৭তম ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার। তিনি ১২ তম ব্রিগেডের (নেগেভ ব্রিগেড) হয়ে উত্তর গাজার যুদ্ধে অংশ নেন।

ইসরায়েলের তাল মেনাশ অঞ্চলের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন ইয়েদিদিয়া আশের লেভ ছিলেন শেকড রেজিমেন্টের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার। তিনি গিভাতি ব্রিগেডের হয়ে গাজার যুদ্ধে অংশ নেন।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ বন্ধে ইরান ও কাতারের আহ্বান

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ওই দুই সেনাই মঙ্গলবার উত্তর গাজার যুদ্ধে নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আরও বলেছেন, উত্তর গাজা উপত্যকায় চলা যুদ্ধে আরও চার ইসরায়েলি সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছে। তারা হলেন - ৭ম ব্রিগেডের ৮২তম ব্যাটালিয়নের একজন যুদ্ধ বিষয়ক কর্মকর্তা, গিভাটি ব্রিগেডের শেকড ব্যাটালিয়নের একজন যোদ্ধা, নাহাল ব্রিগেডের ৯৩১ তম ব্যাটালিয়নের একজন যোদ্ধা এবং মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের একজন কমান্ডার।

বিবিসি জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল হামলা জোরদার হওয়ার পর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের তীব্রতা বেড়েছে।

উত্তর গাজার শহর গাজা সিটির হাসপাতালগুলোর আশেপাশে সংঘাতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ইসরায়েলি সেনারা

হাসপাতালগুলোর আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েক দিন ধরে তীব্র সংঘাত চলার কারণে কয়েকটি হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুশিয়ার করে বলেছে, গাজায় থাকা সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা এখন প্রায় ‘একটি কবরস্থান’। যার ভেতরে এবং বাইরে মরদেহ জড়ো করে রাখা হয়েছে। আল শিফা ‘আর হাসপাতাল হিসেবে কাজ করছে না।

ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত বোমা হামলা ও স্থল আক্রমণ চলতে থাকায় গাজার আরও কয়েকটি হাসপাতালও একই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

সূত্র : আল-জাজিরা, দ্যা জেরুসালেম পোস্ট, বিবিসি

এমইউ