images

আন্তর্জাতিক

খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৮ এএম

দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হন।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আল-আগা এবং আবু গেমায়েজেহ পরিবারের দু’টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের দু’টি আবাসিক ভবন সরাসরি ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় অভিযান চালাতে গিয়ে ইসরায়েলি নারী সেনা গ্রেফতার 

অপরদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে হামলা চালানোকে ‘বৈধ’ ঘোষণা করে ইসরায়েলি বাহিনী এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়ে তা আবার ডিলিট করে দিয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনের হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সগুলো ‘উগ্রবাদীদের অবকাঠামো’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কাজেই হামলা চালানোর জন্য এগুলো ‘বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু।’

ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও তার যোদ্ধারা হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে নিজেদের সামরিক কাজে ব্যবহার করে। এ বিষয়টিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী’ দাবি করে বলা হয়, হামাসের এই তৎপরতার কারণে এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হামলা চালানোর বৈধতা রয়েছে।

কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনে কোনো পরিস্থিতিতেই হাসপাতাল বা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানোকে বৈধতা দেওয়া হয়নি বলে পরবর্তীতে পোস্টটি ডিলট করে দেয় ইসরায়েলি সেনারা।

এ সম্পর্কে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংস্থা- পিএলও-এর সাবেক আইনি উপদেষ্টা দিয়ানা বুত্তু বলেছেন, ইসরায়েল অতীতেও এ ধরনের দাবি করেছে, কিন্তু কখনও তা প্রমাণ করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যদি তা করার চেষ্টাও করে তারপরও আমাদের মনে রাখতে হবে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যা করছে - তা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান এবং এই মুহূর্তে তা বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজার ৭ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি পাশবিকতা অব্যাহত রয়েছে। সেখানকার প্রতিটি সড়কে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। সর্বশেষ সোমবার গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এছাড়া গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য হাসপাতালে নির্বিচারে গোলা ও গুলিবর্ষণ করে যাচ্ছে  ইসরায়েলি সেনারা।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যেকোনো হাসপাতাল বেসামরিক অবকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত এবং সেখানে হামলা চালানোর অধিকার যুদ্ধরত কোনো পক্ষের নেই।  ১৯৪৯ সালে স্বাক্ষরিত জেনেভা কনভেনশনে বলা হয়েছে, ‘কোনো পরিস্থিতিতেই’ হাসপাতালগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো যাবে না, বরং যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে এসব স্থাপনা রক্ষায় সচেষ্ট থাকতে হবে। 

সূত্র : আল-জাজিরা, প্রেস টিভি, মিডল ইস্ট আই 

এমইউ