ফিলিস্তিনের গাজায় আটক রয়েছেন এক ইসরায়েলি নারী সেনা। হামাসের যোদ্ধারা ওই ইসরায়েলি সেনাকে গ্রেফতার করেছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক বিবৃতিতে ওই সেনার পরিচয় নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে তারা বলেছে, মার্সিয়ানোর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাদের মেয়ে নোয়াকে হামাসের যোদ্ধারা নির্মমভাবে অপহরণ করেছে।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে গোয়েন্দা ও সামরিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজার ৭ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড নোয়া মার্সিয়ানোকে বন্দী অবস্থায় দেখানো একটি ভিডিও প্রকাশ করার পরে এ বিষয়টি সবাই জানতে পারে। এ ইসরায়েলি নারী সৈনিকের বয়স ১৯ বছর।
ওই ভিডিওতে নোয়া মার্সিয়ানো তার নাম এবং পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে নিজেকে শনাক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাকে চার দিন ধরে গাজায় বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এএফপি নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালানোর সময় ২৪০ ইসরায়েলিকে বন্দী করে। এরপর নোয়া মার্সিয়ানোর ভিডিও প্রকাশ করে তারা।
অপরদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল হামলা জোরদার হওয়ার পর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের তীব্রতা বেড়েছে।
উত্তর গাজার শহর গাজা সিটির হাসপাতালগুলোর আশেপাশে সংঘাতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি।
হাসপাতালগুলোর আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েক দিন ধরে তীব্র সংঘাত চলার কারণে কয়েকটি হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: হামাসের সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে: নেতানিয়াহু
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা ‘আর হাসপাতাল হিসেবে কাজ করছে না’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত বোমা হামলা ও স্থল আক্রমণ চলতে থাকায় গাজার আরও কয়েকটি হাসপাতালও একই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালে এত দিন বোমা না ফেললেও হাসপাতালটির ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরেই বোমা হামলা করে আসছিল ইসরায়েলি বাহিনী।
তবে গত কয়েক দিন ধরে ওই হাসপাতালের ভেতরে থাকা স্থাপনায় বোমা হামলা করার পাশাপাশি হাসপাতালের আশেপাশে স্থল হামলার তীব্রতাও বাড়িয়েছে তারা।
রোবববার জাতিসংঘ জানিয়েছে অক্সিজেন প্রস্তুতকারী যন্ত্র, পানির ট্যাংক, ম্যাটার্নিটি ওয়ার্ড ও হৃদরোগ বিভাগ-সহ হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বোমা হামলায় ধ্বংস হয়েছে।
চলমান সংঘাতের মধ্যে রোববার ওই হাসপাতালের তিনজন নার্সও মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি
এমইউ