আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩২ পিএম
গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ হয়েছে। আন্দোলনকারী ইসরায়েলিরা বন্দী বিনিময় চাইছেন।
আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ‘যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তির দাবিতে শনিবার তেল আবিবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবনের কাছে একদল ইসরায়েলি বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল।’
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের হাতে বন্দী থাকা ইসরায়েলিদের পরিবাররা প্রতি সপ্তাহে তেল আবিবে বিক্ষোভ করে। ওই পরিবারগুলো চায় - গাজা উপত্যকায় বন্দী থাকা তাদের আত্মীয়রা নিরাপদে মুক্তি পাক। এ দাবিতেই তারা ইসরায়েলের রাজধানীতে আন্দোলন করছে। অপরদিকে গাজায় টানা ৩৬ দিন ধরে ভারী বোমাবর্ষণ হচ্ছে।
তেল আবিবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবনের কাছে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি জানিয়ে স্লোগান দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার গাজা দখলের হুমকি দিলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
তারা ইংরেজি এবং হিব্রু ভাষায় চিৎকার করে বলেন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতি চাই। এখনই বন্দী বিনিময় করতে হবে। যুদ্ধের মাধ্যমে কেউ বিজয়ী হয় না।
বিক্ষোভকারীরা যে ব্যানার বহন করেছিল তাতে লেখা ছিল -হাসপাতালে বোমাবর্ষণ, পানি বন্ধ করা, অনাহারে রাখা এবং শিশুদের হত্যা করা (ইসরায়েলের) আত্মরক্ষার অধিকার নয়।
অপরদিকে হামাস চাইছে, ‘ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু-সহ ইসরায়েলি কারাগারে থাকা সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে গাজা উপত্যকায় বন্দী থাকা ইসরায়েলিদের মুক্ত করার জন্য বন্দী বিনিময় চুক্তি হোক।’ এ বিষয়ে তারা প্রস্তাবও দিয়েছে।
কিন্তু ইসরায়েলি সরকার হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হাতে আটক ইসরায়েলের নাগরিকদের মুক্ত করতে গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় আকাশ থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম ফেলল জর্ডান
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা
এমইউ