images

আন্তর্জাতিক

গাজায় আকাশ থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম ফেলল জর্ডান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৫ পিএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আকাশ থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে চিকিৎসা সরঞ্জাম ফেলেছে জর্ডান। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং কাতারের সহযোগিতায় সহায়তায় জর্ডানের সেনাবাহিনী এটি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

সপ্তাহখানেক আগেও একই পদ্ধতিতে গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ফেলেছিল জর্ডান। খবরে বলা হয়েছে, গাজায় তাদের ফিল্ড হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সহায়তার আরেকটি চালান রয়্যাল এয়ার ফোর্সের একটি বিমান থেকে নিচে ফেলা হয়েছে।  জর্ডানের সেনাবাহিনী রোববার এমন তথ্য জানিয়েছে।

জর্ডানের সেনাবাহিনী বলেছে, গাজায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং কাতারের সহযোগিতায় চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে জ্বালানির অভাবে রোগীদের মৃত্যু

সেনাবাহিনীর বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা পেট্রা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের ক্রমাগত রক্তক্ষয়ী হামলার মধ্যে প্যারাসুটের মাধ্যমে হাসপাতালে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ গত ৬ নভেম্বর জানান, জর্ডানের বিমান বাহিনী গাজায় জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা ও ফার্মাসিউটিক্যাল সহায়তা পাঠিয়েছে।

প্রথমবার চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে বার্তা দেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিমান বাহিনীর নির্ভীক সেনারা মধ্যরাতে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম প্যারাসুটের মাধ্যমে গাজায় অবস্থিত জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। গাজা যুদ্ধে আহত আমাদের ভাই ও বোনদের প্রতি এটি আমাদের দায়িত্ব। আমরা সবসময় আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে থাকব।’

আরও পড়ুন: এক টেবিলে আরব ও মুসলিম বিশ্ব, কী পেল ফিলিস্তিনিরা?

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার কয়েকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জ্বালানির অভাবে গাজার প্রায় সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বাত্মক অবরোধে থাকা গাজায় বিরাজ করছে ভয়াবহ অবস্থা। সেখানে হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করছে। তবে সেখানকার ২৩ লাখ মানুষের জন্য এসব ত্রাণ সামান্য। গাজার ভয়াবহ অবস্থার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। এছাড়া অল্প যে পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করছে তার মধ্যে জ্বালানি নেই। জ্বালানির অভাবে গাজার প্রায় সবগুলো হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে অকাতরে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে দখলদার ইসরায়েল। এমন অবস্থার মধ্যে মুসলিম ও আরব বিশ্বের নেতারা সৌদি আরবে একত্রিত হয়েছিলেন। তবে সম্মেলনে ফিলিস্তিন ইস্যুতে এখনও তারা দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা গত ৩৫ দিনে ভয়াবহ হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু এবং প্রায় তিন হাজারের বেশি নারী। নিহতদের মধ্যে প্রায় সবাই বেসামরিক এবং সাধারণ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল যে হামাসকে নির্মূলে এই নৃসংস অভিযান পরিচালনা করছে, সেই হামাসের টিকিটিও খুঁজে পাচ্ছে না তারা। এর ফলে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে।

একে