images

আন্তর্জাতিক

‘মুসলিম নেতারা ফিলিস্তিন ইস্যুতে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বিভক্ত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম

গাজা যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবে অনুষ্ঠয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ইসলামিক ও আরব বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু এসব মুসলিম নেতারা ফিলিস্তিন ইস্যুতে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বিভক্ত বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার প্রতিনিধি হাসেম আহেলবারা।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আজকের জরুরি শীর্ষ সম্মেলনটি বিভক্ত মুসলিম ও আরব বিশ্বের চিত্র তুলে ধরেছে।

নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধের পর গাজায় কী ঘটবে? বা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে যে মতানৈক্য ছিল - তাতে আলোচনা ও পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য অভাব ছিল।

অপরদিকে যুদ্ধের আগে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের স্বাভাবিককরণের বিষয়টি এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় হামলা বন্ধ না হলে আঞ্চলিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহর

আল-জাজিরার প্রতিনিধি হাসেম আহেলবারা বলেন, আমরা মুসলিম বিশ্ব এবং আরব বিশ্বের নেতাদের কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ে একমত হতে দেখিনি। এসব শীর্ষ নেতারা এখনও এ বিষয়ে একমত হতে পারেননি যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কেমন কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য যুদ্ধবিরতি এবং সাহায্যের জন্য এ শীর্ষ সম্মেলনের আহ্বানের ক্ষেত্রে বলা যায় যে রিয়াদে উপস্থিত নেতাদের পক্ষে এটা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন হবে।

এ কারণে তাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং আশা করতে হবে যে কখন আমেরিকানরা ইসরায়েলিদের ওপর মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরু করার জন্য চাপ দিবে। এছাড়া মার্কিন কর্তৃপক্ষ যখন আরও মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে, তখন গাজার লোকেরা এসব ত্রাণ সহায়তা পাবে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট

শনিবার গাজা যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবে অনুষ্ঠয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন ইসলামিক ও আরব বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন এবং ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব পায়।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

সূত্র : আল-জাজিরা

এমইউ