images

আন্তর্জাতিক

মামলা, বিক্ষোভের মধ্যেও ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাল অস্ট্রেলিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৫ এএম

আদালতের মামলা, বন্দরে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদের মধ্যেই ইসরায়েলে অস্ত্র রফতানি করছে অস্ট্রেলিয়া। ফিলিস্তিনি এবং অস্ট্রেলিয়ান মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোমবার অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছে। সেখানে ইসরায়েলে অস্ত্র রফতানি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস সিনেটর ডেভিড শুব্রিজ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ান সিনেটে বলেছেন, 'অনেকেই জানেন যে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বের সবচেয়ে গোপনীয়, জবাবদিহিতাহীন অস্ত্র রফতানি ব্যবস্থা রয়েছে।' খবর আল জাজিরার

এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র রফতানির প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ান ফিলিস্তিনি সমর্থকরা বন্দরে বিক্ষোভ করে। গত শনিবার সিডনির পোর্ট বোটানিতে একটি বিক্ষোভ গয়। এছাড়াও গত বুধবার মেলবোর্ন বন্দরে একই ধরনের প্রতিবাদে ইসরায়েলি শিপিং কোম্পানি জিমের জন্য পণ্যবাহী ট্রাকের সামনে শুয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন: ‘শত্রু’ থেকে ‘বন্ধু’ হবে কি চীন-অস্ট্রেলিয়া?

তবে গোপনীয়তার কারণে অস্ট্রেলিয়ার ইসরায়েলে অস্ত্র রফতানির বিস্তারিত তথ্য জানা যায় না। শুব্রিজ এই সপ্তাহে সিনেটে বলেন, 'আমাদের সরকার আমাদের বলে না আমরা কার কাছে অস্ত্র রফতানি করছি। কি অস্ত্র আমাদের বলে না। অস্ত্র বিক্রি থেকে এখানে অস্ট্রেলিয়ায় কে লাভবান হয়েছে সেটিও আমাদের বলা হয় না।'

শুব্রিজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের তথ্য অনেক কম পাওয়া যায়।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, অস্ট্রেলিয়া ২০১৭ সাল থেকে ইসরায়েলে ৩৫০টি প্রতিরক্ষা রফতানি পারমিট জারি করেছে। এর মধ্যে শুধু এই বছরে রয়েছে ৫২টি।

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক এবং দ্য প্যালেস্টাইন ল্যাবরেটরি বইয়ের লেখক অ্যান্টনি লোয়েনস্টেইন বলেছেন, জঘন্য প্রমাণ রয়েছে যে অস্ট্রেলিয়াসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো এমন অস্ত্র বিক্রি করছে যা গাজায় সম্ভাব্যভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।'

লোয়েনস্টাইন (যিনি ২০১৬ এবং ২০২০ সালের মধ্যে পূর্ব জেরুজালেমে ছিলেন) তদন্ত করেছেন যে, কীভাবে ইসরায়েলি অস্ত্র এবং নজরদারি প্রযুক্তি ফিলিস্তিনিদের উপর ব্যবহার করা হয় এবং সারা বিশ্বে রপ্তানি করা হয়।

তিনি বলেন, মানবাধিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ায় একটি বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান অস্ত্র শিল্পের জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন রয়েছে।গোপনীয়তা অস্ত্র শিল্পকে উপকৃত করে। শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো অর্থ উপার্জন করা। এটা নিয়েই সব।'

আরও পড়ুন: মহাসাগরে দুই মাস ভেসে প্রাণে বাঁচলেন নাবিক ও তার কুকুর

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) যা বিশ্বব্যাপী অস্ত্র বিক্রির উপর নজরদারি করে তার মতে, অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী অস্ত্রের ১৫তম বৃহত্তম রফতানিকারক ছিল।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের প্রায় সবাই শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিক। গাজায় প্রতি দশ মিনিটে একজন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসুস।

শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় শহরে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১১ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ জন শিশু। গাজায় নিহত নারীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৭ জন।

একে