আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৪ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় জাতিসংঘের ৯৯ কর্মী নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক এ তথ্য দিয়েছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক জুলিয়েট টোওমা বলেন, গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ‘ইউএনআরডব্লিউএ’ এই মুহূর্তে তাদের ১৫০টি আবাস থেকে সাত লাখের বেশি লোককে সাহায্য করছে বলে জানান টোওমা।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় জাতিসংঘের কর্মী নিহতের ঘটনায় বিবিসি নিউজ চ্যানেলকে তিনি বলেন, তার কলিগ বা সহকর্মীদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, যা এই মুহূর্তে ৯৯ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন: রায়িসি
জুলিয়েট টোওমা বলেন, ‘আমাদের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সাপ্লাই আসছে না এবং জ্বালানি সংকট রয়েই গেছে। জাতিসংঘের কোনো কর্মকর্তাকে পেলেই বাচ্চারা একটু রুটি বা পানি চাইছে তাদের কাছে।’
তিনি জানান যে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে এই মুহূর্তে দু’টি জিনিস প্রয়োজন, তা হচ্ছে - জ্বালানি ও মানবিক যুদ্ধবিরতি।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের পর থেকে গাজায় আর কোনো জ্বালানি ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের পদক্ষেপে সেখানে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে বলে জাতিসংঘের অভিযোগকে তারা অস্বীকার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, তারা ইসরায়েলের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে যেন তারা মানবিক সাহায্যের মধ্যে জ্বালানিকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে প্রত্যেক দিন বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার ফটোগ্রাফাররা শত শত ছবি পাঠাচ্ছেন। এর মধ্যে কিছু ছবি এতোটাই হৃদয় বিদারক যে সেগুলো ছাপানোটাও অসম্ভব। যার মধ্যে আছে মারাত্মক আহত হওয়া শিশুদের হাসপাতালে নেওয়ার দৃশ্য, বাবা-মা ছোট্ট শরীরকে কাফনে মুড়িয়ে ধরে আছে, কখনও তাদের মুখটা শুধু দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর ড্রোন ভূপাতিত
এর আগে ৭ অক্টোবর তারিখে শত শত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে আক্রমণ করে। এ সময় হামাসের অভিযানে ১৪,০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এরপর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা করছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি, আনাদোলু এজেন্সি
এমইউ