images

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ১০,৩২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৩২৮ জন। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চার হাজার ২৩৭ জনই শিশু। 

বিবিসির লাইভ রিপোর্টার স্যাম হ্যানকক বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, গাজা “খুব দ্রুত শিশুদের কবরস্থানে” পরিণত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ৫৬ মসজিদ ধ্বংস

সোমবার ভাষণ দেওয়ার সময় আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই উপত্যকার পরিস্থিতি “মানবিক সংকটের তুলনায় বেশি কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটি এখন মানবতার সংকটের পরিণত হয়েছে।”

হামাস ও ইসরায়েলের পরস্পরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরুর মাস পূর্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শত শত মেয়ে ও ছেলে শিশু হয় নিহত হয়েছে নাহলে আহত হয়েছে।”

গুতেরেস আবারও জরুরি অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর পঞ্চম সপ্তাহ চলছে। কিন্তু এরপর এটি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

সোমবার গাজা সিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সেখানকার মিডিয়া অফিসের মুখপাত্র সালামা মারুফ বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণে ১৯২টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৫৬টি দখলদার বাহিনীর দ্বারা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১৯২টি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে। ১১৩টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ১৬টি হাসপাতাল ও ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তাদের সেবা দেওয়া বন্ধ করেছে।

সালামা মারুফ বলেন, ইসরায়েলি হামলায় প্রায় দুই লাখ ২২ হাজার আবাসিক ইউনিট (ফ্লাট) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজার ভবন সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ৪০ হাজার আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হয়েছে।

অপরদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার ফিলিস্তিনের লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিকদের জন্য এক দশমিক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: গাজা এখন দুই ভাগ হয়ে গেছে, দাবি ইসরায়েলের

গুতেরেস বলেন, এই অর্থ গাজা উপত্যকার পুরো জনসংখ্যা এবং পূর্ব জেরুসালেম-সহ পশ্চিম তীরের পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনির সহায়তায় ব্যয় করা হবে।

রাফাহ ক্রসিং পার হয়ে মিসর থেকে গাজায় কিছু পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করলেও গুতেরেস বলেন, সেগুলো আসলে পর্যাপ্ত নয়।

তিনি বলেন, “বিন্দু পরিমাণ সহায়তা সাগর পরিমাণ চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়।”

গুতেরেস বলেন, ত্রাণবাহী পরিবহন গাজায় পূর্ণ মাত্রায় প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত।

তিনি উল্লেখ করেন, “গত দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে গাজায় মাত্র ৪০০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে - যেখানে যুদ্ধ শুরু আগে স্বাভাবিক সময়েই প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক ট্রাক প্রবেশ করতো।”

গুতেরেস গাজায় আরও বেশি পরিমাণ জ্বালানি সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

“জ্বালানি ছাড়া ইনকিউবেটরে থাকা নবজাতক এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাবেন।”

সূত্র : আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি

এমইউ