আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫১ পিএম
নারীদের পরিবার গঠনের প্রবণতা ধরে রাখতে হবে কারণ পরিবার গঠনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সম্প্রতি দেশটির জন্মহার রেকর্ড পরিমাণে হ্রাস পাচ্ছে। তাই নারীদের বিয়ে ও সন্তান জন্ম দেওয়ার ওপর জোর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন শি জিনপিং।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, নারীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং তাদের অবশ্যই একটি পরিবারের নতুন প্রবণতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খবর রয়টার্সের
সম্প্রতি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অধীনে পরিচালিত অল চায়না উইমেনস ফেডারেশনের নতুন নেতৃত্ব দলের সাথে আলোচনার অংশ ছিল নারীদের ভূমিকা।
আরও পড়ুন: চীনের বড় চুক্তি, নেপালে ব্যয়বহুল বিমানবন্দর
তিনি বলেন, নারীর কাজে ভালো কাজ করা শুধু নারীর নিজের উন্নয়নের সঙ্গেই জড়িত নয়, পারিবারিক সম্প্রীতি, সামাজিক সম্প্রীতি, জাতীয় উন্নয়ন ও জাতীয় অগ্রগতির সঙ্গেও জড়িত
তিনি বলেন, বিবাহ ও সন্তান জন্মদানের একটি নতুন সংস্কৃতি সক্রিয়ভাবে গড়ে তোলা এবং বিবাহ, সন্তান জন্মদান এবং পরিবার সম্পর্কে তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গির দিকনির্দেশনা জোরদার করা প্রয়োজন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সন্তান লালনপালনে উচ্চ ব্যয়, ক্যারিয়ার গড়ায় প্রতিবন্ধকতা, লিঙ্গ বৈষম্য এবং বিয়েতে অনীহা অনেক তরুণ চীনা নারীকে সন্তান ধারণ থেকে বিরত রাখছে।
জন্মহার বিয়ের হারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। কারণ, চীনের সরকারি নীতিগুলো অবিবাহিত নারীদের সন্তান ধারণ করার বিষয়টি কঠিন করে তোলে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৯৬১ সালের পর প্রথমবারের মতো দেশটির জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত চিপ শিল্প: টিএসএমসি প্রতিষ্ঠাতা
চীন সরকার জন্মহার বাড়ানোর জন্য গত দুই বছরে দেশজুড়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথাগত বিয়ের খরচ কমানো হয়েছে। কর্মীদের বিয়ের জন্য ছুটি দেওয়া হচ্ছে। দম্পতিদের সন্তান ধারণের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সন্তানের বয়স তিন বছর না হওয়া পর্যন্ত অভিভাবকদের ভর্তুকি দিচ্ছে।
জনসংখ্যার বৃদ্ধি কমাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতিমালা চালু করেছিল চীন। এ নীতির কঠোর প্রয়োগের ফলে জন্মহার অস্বাভাবিকভাবে কমে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে চীন সরকার বিতর্কিত এক সন্তান নীতিমালার বিপরীতে দম্পতিদের দুই সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। ২০২১ সালে অস্বাভাবিক নিম্নমুখী জন্মহার থেকে মুক্তির পথ হিসেবে ‘তিন সন্তান নীতি’ কার্যকর করে চীন। এরপরও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
একে