images

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৮,৭৯৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট হাজার ৭৮৬ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তিন হাজার ৬৪৮ জনই শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে দু’হাজার ২৯০ জন নারী আছে।

সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এক হাজার ১২০জন শিশুসহ মোট দু’হাজার ৩০ জন। তারা সবাই নিখোঁজ রয়েছেন।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ১৩০ প্যারামেডিক এবং মেডিকেল ক্রু নিহত হয়েছেন। সেখানে ২৮টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে এবং ২৭০টিরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিমান হামলা হয়।

আরও পড়ুন: এবার ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ৭ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত!

এদিকে নিরাপত্তা কাউন্সিলে জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থাগুলো আবারও মানবিক অস্ত্র বিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

ইউনিসেফ বলেছে, প্রতি ঘণ্টায় গাজার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। আর “সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মূল্য শিশুদের জীবনের বিনিময়ে পরিশোধ করতে হবে।”

জাতিসংঘের এ শিশু বিষয়ক সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘গাজার পাঁচ শতাংশ পানি সুপেয়। এ কারণে সেখানে শিশুদের মধ্যে পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। এটা একটি ক্রমবর্ধমান হুমকি।’

জেনেভায় জাতিসংঘের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, গাজা এখন শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হয়েছে।

জাতিসংঘের এ শিশু বিষয়ক সংস্থাটি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চায়। তারা গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, গাজার শিশুরা শুধু ইসরায়েলি বিমান হামলায় নয়, চিকিৎসা সেবার অভাবের কারণেও মারা যাচ্ছে।

দাতব্য সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেনের ফিলিস্তিনি শাখার কর্মকর্তা জেসন লি গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, সেখানে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যায়।

জেরুসালেম থেকে কথা বলার সময় তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যে ২০ হাজারের মতো মানুষ আহত হয়েছে - তাদের প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন শিশু।

লি বলেন, জনাকীর্ণ পরিবেশ এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না থাকার কারণে সংক্রামক রোগ বাড়ছে। তিনি বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ৭ অক্টোবর থেকে ৩২০ জনের বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত

তিনি আরও বলেন, গাজায় ট্রাকের মাধ্যমে যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা “সাগরে এক ফোটা পানির মতো।”

“সার্জনরা অ্যানেসথেটিক ছাড়াই অস্ত্রোপচার করছেন, হাসপাতালগুলোতে আলোর উৎস হিসেবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে মানুষ।”

তিনি বলেন, “তাদের চিকিৎসা সরবরাহ যেমন ব্যান্ডেজ শেষ হয়ে গেছে। আর ১৩০টি শিশু রয়েছে ইনকিউবেটরে যেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।”

সূত্র : মিডল ইস্ট আই, বিবিসি, আল-জাজিরা

এমইউ