আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম
এবার ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় সাত ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনটি জানিয়েছে, জাবালিয়া অঞ্চলে ইসরায়েলের বোমা হামলায় সাত বেসামরিক ইসরায়েলি বন্দী নিহত হয়েছে।
বুধবার হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, ‘মঙ্গলবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় বন্দী থাকা সাতজন বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া ওই হামলায় কমপক্ষে ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন।’
একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন বিদেশী পাসপোর্টধারী।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি এর আগে বলেছিল যে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণে তাদের হেফাজতে থাকা প্রায় ২০০ ইসরায়েলি বন্দীর মধ্যে প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে।
মিডল ইস্ট আই স্বাধীনভাবে দাবিটি যাচাই করতে পারেনি।
তবে ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে যে গাজায় বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হাতে অন্তত ২৪০ জন ইসরায়েলি নাগরিক আটক আছে।
আরও পড়ুন: ৭ অক্টোবর থেকে ৩২০ জনের বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত
অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছে।’
ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলার পর এ ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
সেখানে থাকা আল-জাজিরা আরবি-এর একজন সংবাদদাতা বলেছেন, ওই এলাকাটি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে মানুষকে বাঁচাতে এবং টেনে তুলতে কয়েক "সপ্তাহ" সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেন ও লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা
তিনি বলেন, এখানে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল। কত ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে - তা গণনা করা অসম্ভব। মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
লোকজন খালি হাতে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হতাহতদের খুঁজছে। বোমা হামলার সময় অনেক পরিবার তাদের বাড়িতেই ছিল। এ হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই
এমইউ