আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৪৮ এএম
জাতিসংঘ বলছে, আজ বুধবারের (২৫ অক্টোবর) মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জ্বালানি ফুরিয়ে যেতে পারে। এতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই উপত্যকায় সবধরনের কর্মযজ্ঞ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, তীব্র জ্বালানি ঘাটতির কারণে বুধবারের মধ্যে গাজার হাসপাতালগুলোও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং বিদ্যুতের অভাবজনিত বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজায় তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আরও শতাধিক প্রাণহানি ও আহতের তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
একই সময় ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘হামাসের হামলা শূন্য থেকে হয়নি। ফিলিস্তিনের মানুষ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের শিকার হয়েছে। তারা তাদের ভূখণ্ড বসতিতে পরিণত হতে এবং সহিংসতায় জর্জরিত হতে দেখেছে। তাদের অর্থনীতি থমকে গেছে। এই মানুষগুলো বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের দুর্দশার রাজনৈতিক সমাধানের আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে জাতিসংঘের মহাসচিব আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কারণে হামাসের ভয়ংকর হামলা ন্যায্যতা পেতে পারে না। আর ওই ভয়ংকর হামলার কারণে ফিলিস্তিনি মানুষদের সম্মিলিতভাবে যে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তা–ও ন্যায্যতা পায় না।
ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে গুতেরেস বলেন, ‘বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা করার অর্থ তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা নয়। সুরক্ষা দেওয়ার অর্থ এই নয় যে, ১০ লাখ মানুষকে দক্ষিণে চলে যেতে বলা, যেখানে কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই, পানি নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই। আর মানুষকে দক্ষিণে যেতে বলে সেখানে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
এইউ