আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৬ পিএম
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের হামলায় তছনছ হয়ে গেছে ইসরায়েলের বিশাল এলাকা। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে যে, শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করেছে হামাস। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা এত বেশি ইসরায়েলি আটক করেছে, যা ইসরায়েলের ধারণার চেয়েও বেশি। এবার হামাসের হাতে এসব বন্দিদের ফেরাতে মিশরের সাহায্য চেয়েছে ইসরায়েল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, যেসব সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিকে আটক করেছে তাদের মুক্তির জন্য মিশরকে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তেল আবিব।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস। এছাড়া ভারী অস্ত্র নিয়ে স্থলপথেও হামলা চালায় তারা। এ সময় বহু ইসরায়েলি আটক করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন পর্যন্ত দুপক্ষের সংঘাত চলছেই।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের ভেতরে সংঘর্ষে হামাস, কোন দিকে মোড় নিচ্ছে যুদ্ধ?
দুপক্ষের এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১১০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। অপরদিকে গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪১৩ জন।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলার কারণে প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
হামাসের আকস্মিক হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের দখলদার সেনাসহ বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বহু মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু সঠিক সংখ্যা তিনি প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন।
হামাসের এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিশরের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা মার্কিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, মিশর সরকারকে এসব বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আলোচনায় সাহায্য করতে কায়রোকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়েছে
ইসরায়েলের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রবিবার সারারাত ধরে গাজায় হামাস এবং ইসলামপন্থী জিহাদী দলগুলোর অন্তত ৫০০টি অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার, এয়ারক্রাফট এবং কামান ব্যবহার করা হয়েছে।
হামাসের সাতটি কমান্ডিং সেন্টার এবং একটি ইসলামিক জিহাদ কমান্ড সেন্টার এসব লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে।
একে