আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম
নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। আর্মেনিয়ার সরকার এ তথ্য দিয়েছে।
এর মানে হলো যে গত সপ্তাহে আজারবাইজান এই অঞ্চলটি জয় করার পর থেকে জাতিগত আর্মেনিয়ান ছিটমহলের প্রায় পুরো জনসংখ্যা পালিয়েছে।
তবে আজারবাইজান বলেছে যে তারা অঞ্চলটিকে পুনরায় একীভূত করতে চায় এবং এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সমান নাগরিক সূলভ আচরণ করতে চায়। তবে একজন আর্মেনীয় মুখপাত্র বলেছেন যে এটি একটি "মিথ্যা" আশ্বাস।
আরও পড়ুন: ‘নাগর্নো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র বিলুপ্ত হচ্ছে’
নাগর্নো-কারাবাখ - আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তবে তিন দশক ধরে এ অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনিয়ানদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। দক্ষিণ ককেশাসের এ পার্বত্য অঞ্চলটি আর্মেনিয়া সরকার দ্বারা সমর্থিত ছিল।
আজারবাইজানের সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান চালালে অন্তত ২০০ জাতিগত আর্মেনীয় এবং কয়েক ডজন আজারবাইজানীয় সৈন্য নিহত হয়। এরপর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে সম্মত হয়েছে।
এরপর নাগর্নো-কারাবাখের স্ব-ঘোষিত প্রজাতন্ত্রের নেতা বলেছেন, ‘আগামী জানুয়ারি থেকে পার্বত্য নাগর্নো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি এ প্রজাতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলা, শিক্ষকসহ নিহত ৩
এমন পরিস্থিতিতে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নাজেলি বাগদাসারিয়ান বলেছেন, গত সপ্তাহে নাগোর্নো-কারাবাখের এক লাখ ৪১৭ জন শরণার্থী আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) আরও বলেছে যে এক লাখ মানুষ পালিয়ে গেছে। তারা জানিয়েছে, যারা পালিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ‘ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত এবং তাদের অবিলম্বে সহায়তা প্রয়োজন।’
সূত্র : বিবিসি
এমইউ