images

আন্তর্জাতিক

এবার উগ্রবাদ দমনে ইরান-তালেবান সমঝোতা হচ্ছে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:০১ পিএম

উগ্রবাদ দমনে এবার ইরান ও তালেবানের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এখন উগ্রবাদীদের প্রতিরোধের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করছে ইরান আর আফগানিস্তান। 

দ্বিতীয় দফা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বছর পার করলেও এখনও ইরানের স্বীকৃতি পায়নি তালেবান সরকার। তবে উগ্রবাদ দমনের ক্ষেত্রে তারা পাশাপাশি থেকে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিম সে দেশের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এসমাইল খাতিবের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।

আরও পড়ুন: কোরআন হাতে জাতিসংঘে রাইসি, জবাব দিলেন অবমাননার 

সেখানে এসমাইল খাতিব বলেন, ‘‘ ইরান ও তালেবান সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করছে।'' ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সংবাদ সংস্থাটিকে তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব উগ্রবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) -কে সিরিয়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ায় তারা আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়েছে। সেখানকার পাহাড়ি এলাকায় তারা (আইএস) অবস্থান নিয়েছে, যেখানে তালেবান সরকার যেতেই পারে না। সেখান থেকে তারা তালেবান সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা এখন তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।''

ইরান অবশ্য নিজেদের ভূখণ্ডের উগ্রবাদী হামলা নিয়েও উদ্বিগ্ন। এক বছরেরও কম সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের সিরাজ শহরে শিয়াদের এক মাজারে দু-দুবার হামলা হয়েছে। গত আগস্টে এক বন্দুকধারীর গুলিতে একজন নিহত এবং কমপক্ষে আটজন আহত হয়। তার আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে একই স্থানে ভয়াবহ এক হামলায় ১৩ জন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছিলেন।

আফগানিস্তানে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর সক্রিয়তা

ইরানের ৯৫০ কিলোমিটার (৫৯০ মাইল)-এর মতো এলাকা আফগান সীমান্ত সংলগ্ন। দুর্গম পাহাড়বেষ্টিত সেই এলাকায় এককভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জন্যই প্রায় অসম্ভব। এ কারণে সন্ত্রাস দমনের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন তারা।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সীমান্ত আবারও খুলেছে

নিরাপত্তা বিশ্লেষক নিসার আহমাদ সিরাজী মনে করেন, শুধু আইএস-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আফগানিস্তান এবং আফগানিস্তান সংলগ্ন দেশগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করা যাবে না, কারণ ‘‘শুধু আইএস নয়, আফগানিস্তানে এখন অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোও সক্রিয়। সেগুলোও আফগানিস্তান এবং আফগানিস্তানের পাশের সব দেশ এবং অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।''

তালেবান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি ইরান। তবে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে।

অতীতে সন্ত্রাসী হামলা রোধে তার সুফলও পেয়েছে ইরান। সে কথা এখনও স্মরণ করেন ইরানের সংসদ সদস্য মাহমুদ নাবাভিয়ান। তিনি বলেন, ‘‘তালেবানের সহায়তায় অতীতে আমরা পবিত্র নগরী মাশাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করেছি।''

সূত্র : তোলো নিউজ, ডয়চে ভেলে

এমইউ