images

বিনোদন

রাফী আগেও আমার সঙ্গে এমন করেছে: দীঘি

বিনোদন প্রতিবেদক

১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:১১ পিএম

নির্মাতা রায়হান রাফী একটি গণমাধ্যমে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে টিকটক না করে অভিনয়ে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন তার নির্মিতব্য ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার জন্য দীঘি নিজ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন।

এ প্রসঙ্গে রাফী বলেন, ‘একটি চরিত্রের জন্য একাধিক জনের সঙ্গে কথা হতে পারে, চূড়ান্ত একজন হবে এবং তার সঙ্গে লিখিত চুক্তি হবে। দীঘির সঙ্গে তো আমার কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি। সে কাজ করতে চেয়েছে, অফিসে নিজের ইচ্ছাতেই এসেছে। দীঘি বলেছে আমি তাকে বাদ দিয়েছি, তাকে আমার চরিত্রের জন্য উপযুক্ত মনে হয়নি, ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করিনি।’

এ সময় দীঘিকে পরামর্শ দিয়ে রাফী বলেন, ‘তার উচিত টিকটক বাদ দিয়ে অভিনয়ে মনোযোগী হওয়া। ফিটনেসের দিকে মনোযোগী হওয়া। সে শুধু আমার সিনেমা থেকে বাদ হয়েছে এমনটা না, অন্যরা কেন তাকে সিনেমা থেকে বাদ দিল? নিশ্চয়ই তার ঘাটতি আছে।’

রাফীর এই পরামর্শ কীভাবে নিচ্ছেন— জানতে দীঘির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত স্ট্যাটাসে আমি কারও নাম উল্লেখ করিনি। সে যদি নিজের গায়ে নিয়ে থাকে তাহলে বলব, আমরা যখন কোনো অন্যায় করি তখন গিলটি ফিল করি। তার ভিতরেও হয়তো তেমনটা হচ্ছে। ’

এ সময় রাফীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দীঘি বলেন, “রাফী এর আগেও আমার সঙ্গে এমন করেছে। ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়েই তার সঙ্গে আমার প্রথম না, আরও দুই-তিনটা প্রজেক্টে সে আমাকে আশা দিয়ে আশাহত করেছে। একটা ওটিটি প্রজেক্ট নিয়েও সে আমার সঙ্গে এরকম ব্যবহার করেছে।”

এরপর ‘সুড়ঙ্গে’ অভিনয়ের ব্যাপারে দীঘি বলেন, “অনেক দিন আগে রাফী ভাইয়ার সঙ্গে আমার দেখা হলে তার সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। কেননা মেধাবী নির্মাতার সঙ্গে কাজের আগ্রহ দেখানো স্বাভাবিক। পরে তিনিই ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটির জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, নিশো ভাইয়ের বিপরীতে এ ছবিতে আমাকে কাস্ট করা হবে। পরে ছবিটির ব্যাপারে দুইবার তার অফিসে এবং একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে কথা হয় আমাদের।”

এ সময় টিকটক প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, “টিকটকের ব্যপারে তার যদি এতই আপত্তি, সে আমাকে যখন ‘সুড়ঙ্গে’র জন্য ডাকে তখনও তো আমি টকটক করতাম। এটা যদি ইস্যু হতো আমার মনে হয় না সে আমাকে তার অফিস পর্যন্ত আমাকে ডাকত।”

দীঘিকে টিকটক বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন রাফী। অথচ তিনি নিজেও টিকটক করেন উল্লেখ করে এ নায়িকা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দেখলাম রাফী ভাইয়া নিজেও টিকটক করেছে। তার দুইটা টিকটক ভিডিও একজন নায়িকার টিকটক আইডিতে আছে। আর টিকটকে যদি তার এতই সমস্যা থাকত তাহলে টিকটক করে না এমন নায়িকা খুঁজে নিত সে। নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে দেশে এমন কোনো নায়িকা এখন নেই যে টিকটক করেন না। তার নায়িকাদের মধ্যেও অনেকে টিকটক করে। আমাকে পরামর্শ দেওয়ার আগে বড় আয়োজন করে তাদের পরামর্শ দেওয়া উচিত তার।’

দীঘিকে অভিনয়ে মনযোগী হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন রাফী। এ প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, ‘অভিনয় মনযোগী যদি নাই হতাম তাহলে নিশ্চয়ই রায়হান রাফী আমাকে ডাকত না। যেহেতু সে নিজেকে ব্র্যান্ড দাবি করে, ওই ব্র্যান্ড তো আমাকে ডাকত না।’

সবশেষে দীঘি বলেন, ‘বানোয়াট কথা দিয়ে আলোচনায় আসা আমার কাজ না। আমি একজন শিক্ষিত মানুষ। কাদা ছোড়াছুঁড়ি করে, নোংরামি করে আলোচনায় আসার ইচ্ছা আমার নেই। আমি, আমার পরিবার আমাদের কাজ দিয়েই আলোচিত।’

পেশাগত জীবনে রাজনীতির শিকার হয়েছেন দীঘি। দিন দুয়েক আগে সামাজিক মাধ্যমে এমন একটি লেখা লেখেন তিনি। সেসময় জানা যায়, রায়হান রাফীর রাজনীতির শিকার এ নায়িকা। তবে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের কাছে রাফীর নাম উল্লেখ করে কোনো বক্তব্য দেননি তিনি। তারপরও তার নাম জড়িয়ে কথা বলায় মুখ খুললেন দিঘী।

আরআর