বিনোদন প্রতিবেদক
০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
গত ১৮ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় নেপালের ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’ সিনেমা। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় নায়ক-নায়িকার। পরিচয়ের কিছুদিন পর এক ক্যাফেতে প্রথম দেখা হয় তাঁদের। সেখানে কফিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে ছেলেটি। দুই চরিত্রকে ঘিরে এভাবেই ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে।
স্টার সিনেপ্লেক্স, সীমান্ত সম্ভার, সেন্টার পয়েন্ট- এ তিনটি হলে ‘মিসিং’ ছবিটি মুক্তি পায়। সিনেমাটি মুক্তির পর কেমন ব্যবসা করল, দেশে নেপালের সিনেমার বাজারসহ নানা খুটিনাটি বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও সেভাবে নেপালের সিনেমার দর্শক তৈরি হয়নি। যদি নিয়মিত সিনেমা আমদানি হয় তাহলে তৈরি হবে।’ মুক্তির পর দর্শক সাড়া আশানুরূপ ছিল না জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। মেসবাহ উদ্দিনের কথায়, ‘খুব ভালো ছিল তা বলা যায় না। দর্শক উপস্থিতি গড়পড়তা ছিল। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ দর্শক উপস্থিত ছিল।’
আগামীতে নেপালের সিনেমাসহ বিভিন্ন দেশের ছবি আমদানি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র নেপালি সিনেমা না। যেকোনো দেশের সিনেমা নিয়ে আসব আমরা। যেকোনো দেশের সিনেমা আমদানির জন্য ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

প্রচলিত আছে, ‘প্রচারেই প্রসার’। কিন্তু ‘মিসিং’সিনেমা মুক্তির আগে সেভাবে প্রচার দেখা যায়নি। আগামীতে বিদেশী সিনেমা মুক্তির আগে প্রচারণা নিয়ে নতুন করে কিছু ভাবছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। নিয়মিত যখন সিনেমা আমদানি হবে তখন কোন কোন জায়গাগুলো ঘড়তি ছিল সেই জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করব। পরে তা নিয়ে বিবেচনা করব আরও কীভাবে প্রচার প্রচারণা বাড়ানো যায়। কীভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছান যায়।’
‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’ সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজির হুসেন ও সৃষ্টি শ্রেষ্ঠা। এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন দুরা সঞ্জয় গুপ্ত, অমিতেষ সাহ, মদন ঠাকুর প্রমুখ। গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক দীপেন্দ্র গাউছান নিজেই।
ইএইচ/