বিনোদন ডেস্ক
০২ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
গেল রোজার ঈদে শাকিব খানের বরবাদ সিনেমাটি তুমুল ব্যবসা করে। দর্শকরা হলে লাইন ধরে দেখেছেন সিনেমাটি। এবার এ সিনেমার নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক পরিশোধ না করার অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দোয়েল বলেন, ‘আমাকে হৃদয় ভাই তার সহকারীকে দিয়ে ফোন করিয়ে বলেছিলেন ইমার্জেন্সি ইধিকা পালের চরিত্রের ডাবিংটা একটু করে দিতে হবে। না হলে তারা নাকি সেন্সর করাতে পারছিলেন না। আমি বলছিলাম স্পট পেমেন্ট করতে। এরপর আমি ডাবিং করলেও পয়সা পাইনি। ডাবিং করার পর আমি কয়েকবার ফোন করেছি পরিচালককে, তিনি আমার ফোন ধরেননি।’
অভিনেত্রী যোগ করেন, ‘টাকাটা কোনো ইস্যু না কিন্তু প্রেস্টিজটা তো থাকল না। উনারা এত বড় ছবি বানায়, এত গলাবাজি করে, তাহলে উনারাই অভিনয়, নির্মাণ ডাবিং সবকিছু করুক। আমাদের দরকার কি? সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে হৃদয়ের এডিরা এমন আচরণ করেছেন মনে হয় ওরা একেকজন হলিউড থেকে আসছে। এরাই নাকি আবার বাজার লিড করছে। আমার আসলে হাসি পায়। উনারা যেহেতু বড় ডিরেক্টর নিজেকে ভাবছে, ২০-২৫ কোটি টাকা দিয়ে সিনেমা বানাচ্ছে- কিন্তু উনারা দেশের শিল্পীদের পয়সা দিতে পারবে না। আবার রাত ১২টায় ফোন করে বলতে পারবে তাদের কাজটা করে দিতেই হবে।’
এ প্রসঙ্গে মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, ‘আমি জানতামই না যে, এই রকম একটা আর্টিস্টের পেমেন্ট আটকে আছে। আর উনি যদি আমাকে ফোন দিয়ে থাকেন, আসলে অনেক সময় অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসলে ধরা হয় না। ওনার নাম্বার আমার কাছে নাই। হয়তো ব্যস্ততার জন্য ফোন ধরা হয়নি। উনি যদি একটা টেক্সট করে রাখতেন তাহলে হয়তো কথা বলতাম। আর উনার সঙ্গে আমি কনটাক্ট করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ভদ্রমহিলার সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়নি। আর এই সিনেমায় আমার এডি ছিল বাংলাদেশ থেকে আজাদ ভাই। আর বাকি এডিরা সবাই ইন্ডিয়ান। আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না।’
বলে রাখা ভালো, শাকিব-ইধিকা ছাড়াও বরবাদে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত, শ্যাম ভট্টাচার্য প্রমুখ। এছাড়া আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। সিনেমাটি মুক্তির একমাসে প্রায় ৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।