images

বিনোদন

ফিরোজা বেগমের ৯৫তম জন্মদিন

বিনোদন ডেস্ক

২৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ এএম

ফিরোজা বেগমকে বলা হয় নজরুলসংগীতের সম্রাজ্ঞী। ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি নজরুল সংগীতের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। জাতীয় কবির লেখা গান গোটা বিশ্বে প্রচার ও প্রসারে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।  

১৯৪০-এর দশকে তিনি সঙ্গীত ভুবনে পদার্পণ করেন ফিরোজা বেগম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গানে কন্ঠ দেন। ১৯৪২ সালে ১২ বছর বয়সে বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি এইচএমভি থেকে ৭৮ আরপিএম ডিস্কে ইসলামী গান নিয়ে তার প্রথম রেকর্ড বের হয়। শৈশবেই তার সংগীতের প্রতি ভালোবাসা জন্মে।

কিছুদিন পর কমল দাশগুপ্তের তত্ত্বাবধানে উর্দু গানের রেকর্ড হয়। এ রেকর্ডের গান ছিল- ‘ম্যায় প্রেম ভরে, প্রীত ভরে শুনাউ’ আর ‘প্রীত শিখানে আয়া’। দশ বছর বয়সে ফিরোজা বেগম কাজী নজরুলের সান্নিধ্যে আসেন এবং তাঁর কাছে সংগীতের তালিম গ্রহণ করেন। নজরুলের গান নিয়ে প্রকাশিত তার প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৪৯ সালে। কাজী নজরুল অসুস্থ হওয়ার পর ফিরোজা বেগম নজরুলসংগীতের শুদ্ধ স্বরলিপি ও সুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।  

নজরুল-সম্রাজ্ঞী-ফিরোজা-বেগম-2409090845

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি ৩৮০টির বেশি একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বরেণ্য এ সংগীতশিল্পী। নজরুলসংগীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজন, হামদ ও নাত-সহ বিভিন্ন ধরনের সংগীতে কন্ঠ দিয়েছেন। জীবদ্দশায় তার ১২টি এলপি, ৪টি ইপি, ৬টি সিডি ও ২০টিরও বেশি অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে।  
একুশে পদক ফিরোজা বেগমের জন্ম ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই। ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ মহকুমার রাতইল ঘোনাপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে। তার বাবার নাম খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল এবং মায়ের নাম বেগম কওকাবুন্নেসা। 

১৯৫৫ সালে সুরকার, গায়ক ও গীতিকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৬৭ সালে ঢাকায় সপরিবারে ঢাকায় ফিরে আসেন। ফিরোজা বেগমের তিন সন্তান - তাহসিন, হামীন ও শাফীন । 

শিল্পচর্চায় অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য পুরস্কার পান তিনি। কিডনি জটিলতায় ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, মঙ্গলবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি।

আজ, প্রথিতযশা নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী। তিনি চলে গেলেও আজও বেঁচে আছে তাঁর গান। 

ইএইচ/