images

বিনোদন

উবার চালককে মারধরের সময় নোবেলের সঙ্গে ছিলেন ‘প্রাক্তন’ স্ত্রী? 

বিনোদন ডেস্ক

২০ জুলাই ২০২৫, ০১:২২ পিএম

মদ্যপ অবস্থায় উবার চালককে মারধরের অভিযোগে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে শনিবার (১৯ জুলাই) মধ্যরাতে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ রোমান। 

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তার বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ওই উবারচালক জানান, উবার অ্যাপের মাধ্যমে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় যান নোবেল। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে চান না। উদ্ভট কথাবার্তা ও গালাগালি করতে থাকেন। এভাবে তারা দুজন তর্কে জড়ালে একপর্যায়ে নোবেল উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করেন। ঘটনা দেখে উৎসুক জনতা জড়ো হলে নোবেল জনতার তোপের মুখে পড়েন। পরে মিরপুর থানা পুলিশ নোবেল ও ওই ড্রাইভারকে থানায় নিয়ে যায়। 

উবার চালকের বর্ণনানুযায়ী সালসাবিল আহমেদ সঙ্গে ছিলেন নোবেলের। সালসাবিলের সঙ্গে নোবেল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তবে নোবেলের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে তার থেকে দূরে সরে যান সালসাবিল। সম্পর্কটা ছিল শুধু কাগজ-কলমে। ২০২৩ সালে গায়ককে ডিভোর্সের উকিল নোটিশ পাঠান সালসাবিল। এদিকে গেল ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নোবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা ইডেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীর। তবে কি প্রাক্তন সালসাবিলকে নিয়ে ঘুরছিলেন গায়ক? 

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে সালসাবিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। উবারচালককে মারধরের সময় নোবেলের সঙ্গে ছিলেন কি না জানতে চাইলে, কথা বোঝা যাচ্ছে না জানিয়ে ফোন কেটে দেন সালসাবিল। পরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সাড়া দেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও মেলেনি উত্তর। 

এদিকে আজ রোববার নোবেলের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেইলকে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ রোমান বলেন, ‘নোবেলকে গ্রফতার করা হয়নি। তিনি জনগণের বিরক্তির কারণ হয়েছিলেন। ফলে সেখানকার টহলরত পুলিশ দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসে। আনার পর আমাদের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এবং ডিসি মহোদয় উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনেন। কিন্তু কোনো পক্ষের লিখিত অভিযোগ না থাকায় তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে ফেলে। যেহেতু তাদের কোনো অভিযোগ নেই সে ক্ষেত্রে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।’

নোবেলের সঙ্গে কে ছিল জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নোবেলের সঙ্গে তার স্ত্রী ছিল এবং ওই উবারচালক ও তার লোক ছিল। স্ত্রী নাকি প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল সে সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সেটা আমাদের আলোচ্য বিষয় না। কে স্ত্রী বা কে গার্লফ্রেন্ড তা আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের আলোচ্য বিষয় নোবেলের সঙ্গে উবারচালকের দ্বন্দ্ব। সেটা মিটে গেছে।’

বলে রাখা ভালো, রাজধানীর ডেমরা থানায় অপহরণ, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে রুজুকৃত মামলায় এর আগে নোবেলকে গ্রেফতার করে ডেমরা থানা পুলিশ। সেই মামলার নিষ্পত্তি হয় অভিযোগকারী ইডেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিয়ের মাধ্যমে।