বিনোদন ডেস্ক
১০ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
শোবিজ অঙ্গনে পা রেখেই ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। খুব অল্প সময়ে তারকা খ্যাতি পান। কিন্তু সাফল্য বেশিদিন ধরে রাখতে পারনেনি। নানা বিতর্ক আর দেহব্যবসার সঙ্গে নাম জড়িয়ে ক্যারিয়ার থমকে যায় অভিনেত্রীর। সবমিলিয়ে অভিনেত্রীর নাম বললেই যেমন মাথায় আসে সাবলীল অভিনয়ের কথা, তেমনই মনে পড়ে যায় বিতর্কের কথাও।
২০০২ সালে ‘মকড়ি’ চলচ্চিত্রে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এটা ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা। এরপর ২০০৫ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইকবাল’ ছবিতে খাদিজা চরিত্রে তাঁর সাবলীল অভিনয় সিনেমাপ্রেমীদের মন জয় করে। তারপরই যেন হারিয়ে যান তিনি। দীর্ঘ সময় দেখা যায়নি পর্দায়।

হঠাৎ করেই ২০১৪ সালের একটি ঘটনায় আবারও আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী। জানা যায়, সে বছরের আগস্ট মাসে হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের একটি হোটেলে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল শ্বেতাকে। অভিনেত্রীকে উদ্ধার করার পর, তাঁকে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ভারতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন শ্বেতা। অভিযোগের বিষয় গণমাধ্যমকে জানান, তাঁকে জোর করে এই কাজে ফাঁসানো হয়েছিল। তিনি দারিদ্র্যের কারণে এই পেশায় আসতে বাধ্য হননি, বরং ভুল বুঝিয়ে এই কাজে জড়ানো হয়েছিল।
২০১৪ সালের শেষের দিকে হায়দরাবাদের একটি নিম্ন আদালত শ্বেতাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। অভিযোগের রায়ে আদালত জানায়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

শ্বেতা বসু প্রসাদ আবার অভিনয় জীবনে ফিরেছেন। অভিনেত্রীকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস’-এর চতুর্থ সিজনে।
ইএইচ/