বিনোদন ডেস্ক
০৪ জুন ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। তিনি বিএনপির রাজনীতি করলেও দলটিকে ঘিরে নানা খুটিনাটি বিষয়ে নিজের মন্তব্য তুলে ধরেন। আজ বুধবার (৪ জুন) এক পোস্টে উদ্বেগের সুরে লিখেছেন, শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে নাকি পুরনো মাৎস্যন্যায় ফিরে আসবে? নমুনা বিশেষ সুবিধার না ঠেকলেও বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা সীমাহীন।
ওই পোস্টে আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘অমিতাভ চক্রবর্তী ছিলেন একজন ভারতীয় পরিব্রাজক (সন্ন্যাসী- যিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনের জন্য ভ্রমণ করেন)। পরিচয়ের সময় দাদা ছিলেন ৮৩ বছরের যুবা, মানবধর্মে বিশ্বাসী একজন বোহেমিয়ান। সব ধর্মের তীর্থ স্থানগুলোয় ঘুরে বেড়াতেন। দার্শনিকের মতই ছিল তার চিন্তাজগৎ। পছন্দ করতেন অবারিত সবুজ ফসলের ক্ষেত। উপভোগ করতেন সামাহীন আকাশের সৌন্দর্য। ওয়ান ইলেভেন এর শ্বাসরুদ্ধকর সময়ে ঘটে আমাদের রসায়ন।

অমিতাভ চক্রবর্তী বলেছিলেন - সবচেয়ে ছোট দানার (বীজ) বড় গাছটাই বটবৃক্ষ। পরে আর কখনও আমাদের দেখা হয়নি। কোনো ছবিও নেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি উনার নিজস্ব অনুরাগ ছিল।
এখানেই শেষ তিনি যোগ করেন, ‘ধানের শীষে হাসবে এসে পাকলে পরে ধান। অনুভূতি বলে আসছে শহীদ জিয়াউর রহমান। পাকলে পরে ধান সজাগ রেখো কান। ধানের শীষে আওয়াজ উঠে জিয়াউর রহমান। পাকলে পরে ধান আসবে মহাপ্রান- এই গানটির কথা ও সুর অমিতাভ চক্রবর্তীর। এই গানের মাধ্যমে তখন তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভবিষ্যত রাজনীতিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন।’

কন্ঠশিল্পী আসিফ আরও লিখেছেন, ‘ধান পাকার সময় হয়ে গেছে। রাষ্ট্র সেবার সুযোগের দ্বারপ্রান্তে বিএনপি। এই সোনালী ফসল ঘরে তুলতে প্রয়োজন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। ভবিষ্যতে মসৃন পথ চলা নিশ্চিত করা এবং বর্তমানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া। এজন্যই অমিতাভ চক্রবর্তী লিখেছেন- পাকলে পরে ধান সজাগ রেখো কান। নতুন রাজনৈতিক ব্যারোমিটারে বিএনপি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ক্রস করছে। লুটেরা বর্গীর কাছ থেকে সোনালী ধান নিরাপদ রাখবে! নাকি হাওয়ায় দুলতে থাকা পাকা ধান নিজেরাই মাড়িয়ে ফেলবে সেই সিদ্ধান্ত বিএনপি'র।’
সর্বশেষ তিনি লিখেছেন, ‘নমুনা বিশেষ সুবিধার না ঠেকলেও এই দলের কাছে মানুষের প্রত্যাশা সীমাহীন। শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে নাকি পুরনো মাৎস্যন্যায় ফিরে আসবে? এটাই এখন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। জাতির বুক ভরা আশা উদ্বেগে পরিণত না হউক, সেটাই প্রত্যাশা।’
ইএইচ/