বিনোদন ডেস্ক
০১ জুন ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার পক্ষে রাস্তায় নেমেছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে চড়িয়েছিলেন গলা। তবে পট পরিবর্তনের পর হঠাৎ চুপ হয়ে যান। যদিও কয়েক দিন হলো ফের সরব হয়েছেন। সমসাময়িক রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মত প্রকাশ করছেন সামাজিক মাধ্যমে।
এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের অনেকের সঙ্গেই বাঁধনের হাস্যোজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষণীয় ছিল। দেখা গেছে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায়। এবার তিনি নিজেই জানালেন গেল সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির খুব কাছাকাছি থাকার কথা।

নিজের ফেসবুকে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি চাই না, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আবারও সেই একই রাজনৈতিক কৌশল দেখতে হোক। আমি নিজে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের দুর্নীতি ও কারসাজির সাক্ষী ছিলাম। সত্যি বলতে, এর অংশও ছিলাম।’
এরপর লেখেন, ‘কারণ আমি তখন প্রচারণায় যুক্ত ছিলাম এবং গত সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম। ফলে, আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হতো এবং এই সিস্টেম কীভাবে আপস করতো। ক্ষমতাসীন দল কিভাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, যা ছিল অত্যন্ত অনৈতিক ও অন্যায্য। এটি জনগণের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে, এবং আমাদের ভবিষ্যতের উপর একটি স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।’

অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘এইবার আমি আন্তরিকভাবে আশা করি নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধের উপর ভিত্তি করে সরকার একটি ভিন্ন পথ বেছে নেবে। একটি সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন শুধু জনগণের দাবি নয় — এটি একটি শক্তিশালী উপহার যা বাংলাদেশের মানুষকে দিতে পারে এ সরকার।’
শেষে বাঁধন লেখেন, ‘আমরা স্বচ্ছতা প্রাপ্য। আমরা জবাবদিহিতা প্রাপ্য। আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ প্রাপ্য, যা সত্য দিয়ে গঠিত, কারসাজি দিয়ে নয়।’