বিনোদন ডেস্ক
২৯ মে ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
ছোটপর্দার অভিনেতা আরশ খানের বিরুদ্ধে সহকারীকে মারধর, গালিগালাজ ও পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মিজান ও আশরাফুল নামের দুই তরুণ। নিজেদেরকে অভিনেতার সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এইসব অভিযোগ তোলেন।
ইতোমধ্যে ঢাকার উত্তরা থানায় অভিনেতার বিরুদ্ধ সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন ওই দুই যুবক। অভিযোগের নথিতে বাদী মিজান উল্লেখ করেছেন, একমাসের পারিশ্রমিক জোর করে আটকে রাখেছেন অভিনেতা আরশ। এছাড়াও গালিগালাজ, মারধর এবং জোর করে রক্ত নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

এদিকে অভিযোগকারী মিজান গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আরশের সহকারী হিসেবে কাজে নিযুক্ত ছিলেন। তবে বাদীকে দিয়ে আরশ শরীর ম্যাসাজ করাত। শুটিংয়ে অভিনেতা নিজের ইচ্ছাতেই দেরি করে হাজির হয়ে সহকারীদের ওপর দায় চাপিয়ে পরিচালকদের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। এছাড়াও মিজানের শরীর থেকে জোর করে রক্ত নেওয়ায় অভিনেতার কাছে টাকা দাবি করেছেন।
দেয়াল গ্রাফিতি আঁকছেন অভিনেতা আরশ খান
সহকারীর পারিশ্রমিক আটকে রাখার অভিযোগের অস্বীকার করেছেন আরশ খান। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মিজান আমার সঙ্গে কাজ করেছে। আমি তাকে একটি শুটিং সেট থেকে বের করে দিয়েছি। শুটিং সেটে রাসেল আজমের এডিকে (সহকারী পরিচালক) গালি দেয় মিজান। সেই খবর আমার কাছে আসে। তারপর আমি জানতে পারি, আমার নামে একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট খুলে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে করে ভালো ভিউস হয়ে গেছে, ফ্যানবেজ তৈরি হয়ে গেছে। তখন চার হাজার টাকায় টিকটক অ্যাকাউন্টটি বিক্রি করে দিয়েছেন।’

অভিনেতা যোগ করেন, ‘সবকিছু মিলায়ে মিজানকে কাজ থেকে বের করে দিয়েছি। তাছাড়া কাজ থেকে বের করে দেওয়ার আগে আমি একটা ভিডিও করেছি। সেখানে সবকিছু বলা আছে, আমার কাছে সে কোনো টাকা পাবে কি না। এমনকি এটাও বলা হয়েছে, যে মাসে কাজ করবে তার পরের মাসে বেতন দেওয়া হবে।’
প্রশাসন তো চেঞ্জ হলো না, রিংকু আটকে আরশ খানের আক্ষেপ
এখানেই শেষ না অভিনেতার বিরুদ্ধে সহকারীকে মারধরের অভিযোগ নিয়েও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। আরশ বলেন, ‘সেটে আমি একবার থাপ্পড় দিয়েছিলাম। কারণ, চট্টগ্রামে শুটিং করার সময় দীঘি শাহ নামে একজন নৃত্যশিল্পী তার মা আমার নাম্বার নিয়েছিল। ওনাদের নাম্বারটাও আমার কাছে ছিল। আশরাফুল কাছে যেহেতু আমার ফোন থাকে। আমার ফোন থেকে ওই মেয়ের নাম্বার নিয়ে সে মেসেজ করছে। এরপরই ওই মেয়ে আমাকে মেসেজের ছবি পাঠায়ে বলেন, “ভাইয়া আপনার ওখান থেকে কেউ মেসেজ দিচ্ছে”।

সবশেষে অভিনেতা বলে, ‘স্কিনশর্টের নাম্বার দেখে জানতে পারি এইটা আশরাফুলের। আমি কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছিলাম আশরাফুলকে। তুই কি ওই মেয়েকে মেসেজ দিয়েছিস? আশরাফুল বলে না। তখন শাসন করা জন্য একটা থাপ্পড় দিয়েছি। এরপর তো কয়েকজনের সামনে মাপও চেয়েছিল। কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।’ আরশ খান জানিয়েছেন তিনিও দ্রুত আইনে ব্যবস্থা নেবেন।
ইএইচ/