নাট্যনির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকুকে আটক করায় সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের মানুষজন। কেউ কেউ প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ। অভিনেতা আরশ খানও রয়েছেন এই দলে।
রিংকুকে আটকের খবর শুনেই থানায় ছুটে গেছেন আরশ। সেকারণেই খবরাখবর জানতে যোগাযোগ করা হয় তার সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে আরশ বলেন, রিংকুকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। আমরাও যাচ্ছি সেখানে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে আরশ বলেন, ‘তিনি (রিংকু)কোনো এক সময় একটি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই পুরনো ফাইল বের করে ধরুন কোনো অঞ্চলে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেখানে সন্দেহভাজনভাবে তাকে দেখানো হচ্ছে। এর কোনো প্রমাণ নেই। কোনো কিছুই নাই। এটা মূলত হিংসা থেকে করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে সে একজন পরিচালক। ভালো কাজ করছে। দিয়ে দেই তার নামটা। আর হুজুগে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে।’
এ সময় আক্ষেপের সুরে আরশ প্রশ্ন রাখেন, ‘তাহলে আন্দোলনে থেকে লাভ হলো কী? প্রশাসন তো চেঞ্জ হলো না।’
এর আগে রিংকুর আটকের সংবাদ শুনে নিজের ফেসবুকেও প্রতিবাদ করেন আরশ। তিনি লেখেন, ‘একজন পরিচালক গ্রেফতার হবে, কোনো কারন জানানো হবেনা, হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া বাকিরা ঘরে বসে স্টেটাস দেব। এটা কি আদৌও ঠিক! কাল তো তাহলে আপনার জানাজায় লোক খুঁজে পাবেন না। ইউনিটির অবস্থা এমন কেন? রিফর্মেশন এবং সংগঠনে কি লাভ তাহলে?’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশান এলাকা থেকে আটক করা হয় রিংকুকে। দেড় শতাধিকের মতো নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি নাটক পেয়েছে জনপ্রিয়তা। এ নির্মাতার উল্লেখযোগ্য নির্মাণ ‘রঙিন আশা’, ‘পুতুলের সংসার’, ‘ইতিবৃত্ত’, ‘নরসুন্দরী’, ‘কবর’, ‘বন্ধন’, ‘ব্লগার মিতু’, ‘জাল’, ‘কাটুস’, ‘অতিরিক্ত’, ‘নোঙ্গর’, ‘রিকশা গার্ল’।

