বিনোদন ডেস্ক
১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০১ এএম
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কণ্ঠ দিয়ে তিনি শাসন করছেন ভারতের সংগীতাঙ্গন। বাংলা কিংবা হিন্দি গানে তার জুড়ি মেলা ভার। কণ্ঠশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্যকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সম্প্রতি এই সংগীতশিল্পী কথার লড়ায়ে মেতেছেন। কিছুদিন আগেই ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন অভিজিৎ।
২৯ বছরের সংসার ভাঙছে এ আর রহমানের
ভারতীয় গণমাধ্যমে এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এ আর রহমানের প্রযুক্তিনির্ভর সঙ্গীতশৈলীর জন্যই লাইভ ইনস্ট্রুমেন্টেশন বা বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার কমেছে। সেই সঙ্গে দোষারোপ করেন, রহমানের জন্য অনেক প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পী ‘সাইডলাইনে’বসে গেছে।

সংগীতশিল্পীর অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন অস্কারজয়ী সুরকার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার নামে দোষ চাপানো সহজ। আমি অভিজিৎ দাদাকে ভালোবাসি। তার জন্য কেক পাঠাতে পারি। তবে তার নিজেস্ব মতামত থাকতেই পারে, তা কোনো অপরাধ নয়।’
এ আর রহমান শিল্পীদের সম্মান করেন না, অভিযোগ অভিজিতের
তিনি যোগ করেন, ‘আমি সম্প্রতি দুবাইয়ে ৬০ জন মহিলা শিল্পীকে নিয়ে একটা অর্কেস্ট্রা তৈরি করেছি। তারা প্রতি মাসে পারিশ্রমিক পান, ইন্স্যুরেন্স পান, স্বাস্থ্য পরিষেবা পান। আমি ‘ছবা’ বা ‘পন্নিয়িন সেলভান’-এর মতো প্রতিটি ছবিতে ২০০-৩০০ জন সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিছু গান তো ১০০ জনেরও বেশি লোক নিয়ে তৈরি হয়। আমি ছবি পোস্ট করি না বলে কারও নজরে আসে না।’

প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অস্কারজয়ী সুরকার বলেন, ‘কম্পিউটার একটা যন্ত্র মাত্র। আমি সেটাকে ব্যবহার করি হারমোনি ডিজাইন করতে। কিন্তু ২০০ জন বাদ্যযন্ত্রী এনে তাঁদের বাজিয়ে আবার বাদ দিলে সেটা অসম্ভব খরচের ব্যাপার। আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করি, তাঁরা জানেন আমি কতজন মিউজিশিয়ানের সঙ্গে কাজ করি।’
মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ায় বিচ্ছেদ এ আর রহমানের—মুখ খুললেন ঘনিষ্ঠজন
বলে রাখা ভালো, সাম্প্রতিক তিনি ভিকি কৌশল অভিনীত ‘ছবা’ ও তামিল ছবি ‘কাধলিক্কা নেরামিল্লাই’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে আমির খানের প্রযোজনায় নির্মিত ‘লাহোর ১৯৪৭’, মণি রত্নমের ‘ঠাগ লাইফ’, আনন্দ এল রাইয়ের ‘তেরে ইশ্ক মে’ সহ বেশকিছু ছবির কাজ করছেন তিনি।
ইএইচ/