অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের ঘর ভাঙার খবরে যখন তোলপাড় সামাজিক মাধ্যমে। ঠিক তখন আরও একটি বিচ্ছেদের খবর। রহমানের টিমের নারী সদস্য গিটারিস্ট মোহিনী দেরও সংসার ভেঙেছে। শুরু হয় ফিসফাস। দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে থাকেন নেটিজেনরা। তবে কি মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে ঘর ভাঙল রহমানের। চর্চা মাথাচাড়া দিতেই মুখ খুললেন রহমান-সায়রা ঘনিষ্ঠ।
সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ প্রথমে সামনে আনেন যে মানসিক চাপ তাদের বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। রহমান লেখেন, এমন যে হবে তিনি কখনও ভাবেননি।
এরপর রহমান আর সায়রার ডিভোর্সের সঙ্গে মোহিনীর কোনো সংযোগ আছে কি না প্রশ্ন করা হলে, জবাব আসে, ‘কোনো সংযোগ নেই। সায়রা ও মিস্টার রহমান নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে চলা প্রতিটা বিয়েই ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যায়। আমি খুশি যে তারা এটিকে মর্যাদাপূর্ণভাবে শেষ করছেন। রহমান আর সায়রা সবসময় একে-অপরকে সম্মান করবেন, এবং একে অপরের মঙ্গল কামনা করবেন।’
গত মঙ্গলবার সায়রা বানু নিজের আইনজীবী বন্দনা শাহর মাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তাতে বলা হয়, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। মানসিক চাপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, নিজেদের মধ্যে তৈরিকৃত ব্যবধান দূরত্ব ঘোচাতে পারছিলেন না তারা। সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন।
আরও বলা হয়, “মিসেস সায়রা জোর দিয়ে বলেছেন, ব্যথা এবং যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি তার জীবনের এই কঠিন অধ্যায়টি পার করার সময় সবার কাছ থেকে গোপনীয়তা এবং তাদের ব্যাপারটি বোঝার অনুরোধ করেছেন।”