images

বিনোদন

কঙ্গনাকে চড় মারা নিরাপত্তারক্ষীকে চাকরির প্রস্তাব

বিনোদন ডেস্ক

০৮ জুন ২০২৪, ১১:৪১ এএম

ভারতের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বলিউড তারকা কঙ্গনা রণৌতের গালে সপাটে চড় কষার অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছিল সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের নারী নিরাপত্তারক্ষী কুলবিন্দর কৌরকে। এরপর তাকে করা হয় গ্রেফতার।

আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য হয়েই চড় খেলেন কঙ্গনা

এ ঘটনায় বলিউডের অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন কঙ্গনার। কেউ কেউ আবার কুলবিন্দরের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে তার ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তবে সবার ব্যতিক্রম বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার বিশাল দাদলানি। তিনি জানিয়েছেন কুলবিন্দরের চাকরি চলে গেলে তিনি চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। 

সমাজমাধ্যমে ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে দাদলানি লিখেছেন, “কোনোরকম হিংসার ঘটনা সমর্থন করি না আমি। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীর রাগের কারণ বুঝতে পারছি।”

kangana-ranaut-060624-01-1717689010_20240607_144728292

কুলবিন্দরের পাশে দাঁড়িয়ে, সিআইএসএফ-এর তরফে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হলে, অর্থাৎ চাকরি গেলে তার চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেনন সুরকার। তিনি দাবি করেছেন, কুলবিন্দরের জন্য কাজের ব্যবস্থা তিনি করেই রেখেছেন, পরিস্থিতি তেমন হলেই তিনি সে কাজে যোগ দিতে পারবেন। এর পরই বিশাল লিখেছেন সেই স্লোগান “জয় হিন্দ, জয় জওয়ান, জয় কৃষাণ।”

কঙ্গনা বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে এসেছিলেন বিমানে উঠতে। দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে এক মহিলা CISF জওয়ান তার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাকে চড় মারেন। এর পরে কঙ্গনার সঙ্গে থাকা একজন পাল্টা চড় মারেন ওই জওয়ানকে।

জানা গেছে ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। আক্রমণাত্মক টুইট করেছিলেন। তখন থেকেই অভিনেত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই জওয়ান। এবার বিমানবন্দরে দেখা পেতেই মেটান মনের ঝাল।

kangana-20220425154919_20240607_115116967

এদিকে চড় খেয়ে কঙ্গনাও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সিকিওরিটি চেকের সময়ে ঘটেছে। চেক করে যেই বেরিয়েছি, তখন অন্য কেবিনে যে নারী ছিলেন, যিনি ওই কেবিনের নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন, সেই CISF জওয়ান মহিলা, উনি পাশ থেকে এসে আমার মুখে মারেন। গালি দিতে শুরু করেন।’

মান্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ের মালা পরেছেন কঙ্গনা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংয়ের পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ পোক্ত। মা-বাবা দুজনেই হেভিওয়েট রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হিমাচলে। ভোটের আগে অনেকের ধারণা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীর টিকিটি ছুতে পারবেন না। তবে ভোটের হিসাব বলেছে অন্য কথা। বিক্রম ধরাশয়ী হয়েছেন নায়িকার কাছে।