বিনোদন ডেস্ক
২২ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৮ পিএম
অভিনয় দিয়ে সীমানার কাঁটাতার ভেঙেছেন আজমেরী হক বাঁধন। কলকাতার সৃজিত থেকে বলিউডের বিশাল ভরদ্বাজ, সবার নির্দেশনায়ই সাবলীল তিনি। পর্দায় পাল্লা দিয়েছেন পর্দা কাঁপানো টাবুর সঙ্গে। সেখানেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন। এবার নতুন একটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন। এখানেও গল্পের নায়ক বাঁধন।
নির্মাতা সানী সানোয়ারের ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ নামের ছবিতে যুক্ত হয়েছেন তিনি। একটি খুনের রহস্যভেদের গল্প নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমাটি। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। পর্দায় পুলিশ হয়ে আসবেন বাঁধন।
আরও পড়ুন: দর্শক শুধু আমার কাজ না, আমাকেও পছন্দ করেন: বাঁধন
এ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘সিনেমার নাম পড়েই বোঝা যাচ্ছে এটি একটি খুনের গল্প। তবে এর পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। গল্প নিয়ে এর বেশি কিছু বলব না। ছবিটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি, যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারি। শুটিং শেষ করে, মুক্তির আগে বাকি সব অনুভূতি শেয়ার করব।’
আরও পড়ুন: ফের আরাভের দোকান উদ্বোধন করতে দুবাইয়ে হিরো আলম
ছবিতে বাঁধন ছাড়াও রয়েছেন পূজা এগনেজ ক্রুজ। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল পেশাদার একটি প্রোডাকশন হাউজ থেকে একটি বড় সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করব। শেষমেশ সেটা হলো এবং ভালোভাবেই হলো। গল্প ও চরিত্র দুটিই আমার দেখা এবং জানা বেস্ট অব দ্য বেস্ট মার্ক পাবে।’
আরও পড়ুন: তানজিন তিশাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
ছবিটির পরিচালক সানী সানোয়ার। গল্পও তার। তিনি বলেন, “অ্যাকশন থেকে বের হয়ে এবার খুন রহস্যে ঢুকে গেলাম। ২০০৯ সালে ঘটে যাওয়া এই কেইসের তদন্তে আমি নিজে যুক্ত ছিলাম। সেটা নিয়ে সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তির পর পরই। সেই ২০১৮ সাল থেকে লিখতে লিখতে, ২০২৩-এ শুটিং শুরু করতে যাচ্ছি।”
বাঁধন, পূজা ছাড়াও এতে অভিনয় করবেন মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ, এজাজ আহমেদ, মাজনুন মিজান, আনিসুল হক বরুণ, সুষমা সরকার, দীপু ঈমাম। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে ছবিটি।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় সিনেমাটির নাম ঘোষণা ও লোগো উন্মোচন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এন্টি টেররিজম ইউনিট চিফ, অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ ও বিঞ্জ-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, চলচ্চিত্রটির শিল্পী, কলাকুশলীরা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।