images

শিক্ষা

‘শান্তি চুক্তি’ ভেঙে ফের ঢাকা ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ এএম

শান্তি চুক্তি ভেঙে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়েছে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরির পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

মারামারি বন্ধ ও ‘ভ্রাতৃত্ববোধ’ গড়তে এক মাস আগে ‘শান্তি চুক্তি’ করে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত ৯ নভেম্বর দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট থানার ওসি এ কে এম মাহফুজুল হকের উদ্যোগে ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘শান্তি চুক্তি’ সম্পন্ন হয়। 

সেখানে দুই কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ছাড়াও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস, আইডিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রেযওয়ানুল হকসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

picture
মারামারি বন্ধ ও ‘ভ্রাতৃত্ববোধ’ গড়তে গত ৯ নভেম্বর ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘শান্তি চুক্তি’ হয়।

সেদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় এবং পরস্পর আলিঙ্গন করে সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। পরে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা মিষ্টি খাওয়ানো হয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের।

‘শান্তি চুক্তির’ ঠিক এক মাসের মাথায় আবারো সংঘর্ষে জড়ালো দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে সায়েন্সল্যাব ও আশপাশের এলাকায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যায় পুলিশ।

নিউমার্কেট থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা কলেজের একটি বাসে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ তোলা হয়। এর জের ধরেই সংঘর্ষ শুরু হয়।

ওসি আরও বলেন, ‘আমরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরত পাঠিয়েছি। আর আইডিয়াল কলেজ কলাবাগান থানা এলাকার আওতাধীন। সেখানকার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’

এমআর